পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই বার্তায় রবিবার (১৬ জুন) গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
ঈদ শুভেচ্ছাবার্তায় বাইডেন বলেন, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত থেকে সাধারণ মানুষদের রক্ষার এটাই সর্বোত্তম সময়।
গাজায় হাজারো শিশুসহ বহু মানুষ নিহত হচ্ছে। বাড়িঘর হারাচ্ছে তারা। তাদের কষ্টের সীমা নেই।
বাইডেন আরো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত তিন ধাপের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত হয়েছে।
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, গাজায় ভয়াবহতা বন্ধ করা ও যুদ্ধ থামাতে এটাই সবচেয়ে ভালো কৌশল।’
রাফা শহরের ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা সোমবার ভোরে ইসরায়েলি ট্যাংক হামলার কথা জানিয়েছেন। গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের কৌশলগত বিরতি ঘোষণার আগে এই হামলা করেছিল তারা। কৌশলগত বিরতি ঘোষণায় বলা হয়েছে, কেরাম শালোম ক্রসিং থেকে সালাহ আল-দিনের দিকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মানবিক যুদ্ধবিরতি দেওয়া হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, সেনাবাহিনীর নীতিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। এবং জোর দিয়ে বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র এএফপিকে বলেছেন, এই বিরতি সোমবার কার্যকর হয়েছে। সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, সেনারা এখনো রাফা শহর ও মধ্য গাজায় অভিযান চালাচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা এএফপিকে জানিয়েছেন, সোমবার সকালে তারা রাফা শহরের কেন্দ্র ও পশ্চিম দিকে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান।
জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএর মুখপাত্র জেনস লার্কে বলেন, গাজাবাসীর জরুরিভাবে খাদ্য, পানি, স্যানিটেশন, আশ্রয় ও স্বাস্থ্য পরিচর্যার প্রয়োজন।
ইসরায়েলের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দক্ষিণ ইসরায়েলে ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় এক হাজার ১৯৪ জন ইসরায়েলি নিহত হয়। ২৫১ জন ইসরায়েলিকে জিম্মিও করে হামাস। এর মধ্যে ১১৬ জন গাজায় রয়েছে। যদিও সেনাবাহিনী বলছে, জিম্মিদের মধ্যে ৪১ জন মারা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে কমপক্ষে ৩৭ হাজার ৩৩৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক মানুষ।
গাজায় একটি নতুন যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিয়ে আসছে মিসরীয়, কাতারি ও মার্কিন মধ্যস্থতাকারীরা। কিন্তু এখন পর্যন্ত সফল হয়নি তারা।
হামাস ও ইসরায়েল—দুই পক্ষকে এ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নিতে ও বাস্তবায়ন করতে চাপ দিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। গত সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটিতে পাস হওয়া প্রস্তাবটিতে প্রাথমিকভাবে ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে।
মিয়ানমার, চীনের উইঘুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নিপীড়নের মুখে থাকা মুসলমানদের অধিকারের পক্ষে ওয়াশিংটনের প্রচেষ্টার কথাও বিবৃতিতে তুলে ধরেন জো বাইডেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, ‘আমরা সুদানে ভয়ংকর সংঘাতের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কাজ করছি।’
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন