রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। পাশাপাশি কিম ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোর প্রতি ‘পূর্ণ সমর্থন’ প্রস্তাব করেছেন।
পুতিন ২৪ বছর পর উত্তর কোরিয়ায় সফরে গেছেন। এ সময় পিয়ংইয়ংয়ে এক শীর্ষ সম্মেলনে স্বাক্ষরিত একটি কৌশলগত চুক্তির অংশ এই সামরিক সহযোগিতার অঙ্গীকারটি।
রুশ সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, পুতিন উত্তর কোরিয়ার রাজধানীতে একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এটি সত্যিই একটি যুগান্তকারী দলিল।’ তিনি জানান, এতে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে, এই চুক্তির পক্ষগুলোর একটির বিরুদ্ধে আগ্রাসনের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহায়তা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই দুই দেশ মিত্র হিসেবে রয়েছে এবং ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর পুতিন বৈশ্বিক মঞ্চে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে আরো কাছাকাছি এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা উত্তর কোরিয়াকে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে গোলাবারুদ ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে।
এখন নতুন চুক্তিটি আরো সরবরাহের উদ্বেগকে আরো বাড়াবে।
এদিকে কিম পুতিনকে ‘কোরীয় জনগণের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু’ বলে অভিহিত করে বলেছেন, তার দেশ ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে ‘রুশ সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করে’। পুতিন পরিবর্তে তার স্বাগতিক কিমকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, মস্কো ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ ও অটুট’ সমর্থনের প্রশংসা করেছে।
এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মস্কোর ওপর জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
পাশাপাশি নিষিদ্ধ অস্ত্র কর্মসূচির জন্য ২০০৬ সাল থেকে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার অধীনে রয়েছে কিমের দেশ। পুতিন এদিন বলেছেন, নিষেধাজ্ঞায় নিমজ্জিত দুটি দেশ পশ্চিমা ‘ব্ল্যাকমেইল’ সহ্য করবে না। পাশাপাশি তিনি উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন।
স্থানীয় সময় বুধবার ভোরের আগে পুতিন পিয়ংইয়ং পৌঁছন। সেখানে বিমানবন্দরে লাল গালিচায় কিম তাকে অভ্যর্থনা জানান।
দুই নেতা একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন এবং হাসেন। তারপর তারা কিম ইল সুং স্কয়ারে একটি স্বাগত অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পুতিন কিমকে মস্কো সফরের আমন্ত্রণ জানান। কিমের মতে, দুই দেশের সম্পর্ক এখন ‘মৈত্রীর নতুন উচ্চতায়’ উঠেছে।
সূত্র : এএফপি
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন