রাশিয়া রবিবার বলেছে, রুশ অধিকৃত ক্রিমিয়াতে ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র দায়ী। ওই হামলায় তিন শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।
রাশিয়ার নিযুক্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেভাস্তোপল শহরের সৈকত এলাকার ওপর একটি ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরিত হয়েছে। সেখানে বিশ্রাম নেওয়া মানুষ ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরা থেকে আঘাত পেয়েছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘শান্তিপ্রিয় বাসিন্দাদের ওপর ইচ্ছাকৃত ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দায়’ ওয়াশিংটন ও কিয়েভের। মার্কিন সরবরাহকৃত এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এ হামলা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে তারা।
সেভাস্তোপলের গভর্নর মিখাইল রাজভোজায়েভ টেলিগ্রামে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে বলেছেন, তিন শিশু ও দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মারা গেছেন এবং প্রায় ১২০ জন আহত হয়েছে।
কৃষ্ণ সাগর বন্দর শহর ও ক্রিমীয় উপদ্বীপের নৌঘাঁটি ২০১৪ সালে রাশিয়া সংযুক্ত করেছিল।
কিন্তু অঞ্চলটি এখনো ইউক্রেনের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। সেভাস্তোপল নিয়মিত ইউক্রেনের আক্রমণের মুখে পড়ে। কিন্তু রবিবারের হামলা ছিল অস্বাভাবিকভাবে মারাত্মক।
রজভোজায়েভ বলেন, উচকুভকা এলাকায় হামলাটি হয়েছে, যেখানে বালুকাময় সৈকত ও হোটেল রয়েছে।
ইউক্রেন পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী সমুদ্রের ওপর এগুলোকে ধ্বংস করে। কিন্তু এগুলোর টুকরো তীরে পড়লে মানুষ আহত হয়। ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরো শহরের উত্তরে সৈকত এলাকায় আঘাত হানলে একটি বাড়ি ও বনভূমিতে আগুন লাগে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, বিস্ফোরণ ঘটায় মানুষ সৈকত থেকে দৌড়ে পালাচ্ছে।
তবে এসব ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা যায়নি। টেলিগ্রামে স্থানীয় নিউজ চ্যানেল সিএইচপি সেবাস্তোপল প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত করে বলেছে, একজন বয়স্ক নারী সমুদ্রে সাঁতার কাটতে গিয়ে মারা গেছেন।
এদিকে গুরুতর অপরাধের তদন্তকারী কমিটি বলেছে, তারা ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের’ তদন্ত শুরু করছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেন ‘গুচ্ছ বোমা ভর্তি মার্কিন সরবরাহকৃত এটিএসিএমএস কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সেভাস্তোপলের বেসামরিক অবকাঠামোতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে’।
মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে পঞ্চমটি বাধা দেওয়ার পর গতিপথ পরিবর্তন করে। তারা এ হাময়াল্র প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছে।
এদিকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এই হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে সমর্থক দেশগুলোকে রাশিয়ার মাটিতে হামলা বাড়াতে ইউক্রেনকে সাহায্য করার আহ্বান জানিয়েছেন।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন