বাংলাদেশিসহ ১৭০০ অভিবাসী কর্মীদের আটক করেছে সেলেঙ্গর মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট জেআইএম। এই সমন্বিত অভিযানটি পরিচালনা হয় জালান সুলতান আব্দুস সামাদ ৩৮ বন্দর সুলতান সুলায়মান আবাসিক এলাকায়। এ অভিযানে মোট কতজন বাংলাদেশি আটক হয়েছে তা জানায়নি দেশটির ইমিগ্রেশন।
অভিযানটির পরিচালক খাইরুল আমিনুস কামরুদ্দিন বলেন, এই আবাসিক এলাকায় তিন মাস ধরে আমাদের গোয়েন্দা বাহিনী এটি পরিচালনা করছে।
অভিযানের আটককৃতদের মাঝে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক রয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই আবাসিক এলাকার বিদেশি নাগরিকদের ব্যাপারে বিভন্ন অভিযোগ পাই। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা এই অভিযান পরিচালনা করি। আমরা প্রাথমিক অভিযানে তাদের মধ্যে অনেকের নিকট প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস, ভিসা না থাকা, অতিরিক্ত অবস্থানের মতো অপরাধী পেয়েছি।
খায়রুল আমিনুস বলেন, জিআইএম, সেন্ট্রাল ব্রিগেড জেনারেল অপারেশন ফোর্স (জিওএফ), সেলাঙ্গর ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট (জেপিএন), রয়্যাল ক্ল্যাং সিটি কাউন্সিল (এমবিডিকে) এবং কেডিএনের ২৯৮ জন এই সমন্বিত অভিযানে অংশ নেন।
তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, যেসব বিদেশী নাগরিকদের বৈধতার জন্য ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া এখনও চলমান রয়েছে তাদেরও আটক করা হয়েছে। আর অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ ধারার পাশাপাশি অন্যান্য অপরাধের সাথে জড়িত আছে তাদের সংখ্যা আমরা এখন দিতে সক্ষম নই।
মালয়েশিয়ার সরকারী গণমাধ্যম বারনামা জানায়, বিকাল ৫টার দিকে অভিযানের সময় বেশিরভাগ বিদেশি নাগরিক উক্ত আবাসন এলাকায় ফুটবল খেলছিলেন ও রাতের বাজারের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটায করছিলেন।
আবার কেউ কেউ সাপ্তাহিক ছুটি কাটাচ্ছিলেন। এসময় ইমিগ্রেশনের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের মধ্যে কেউ কেউ গাড়ির নীচে লুকিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। গ্রেপ্তার এড়াতে তাদের বাচ্চাদের রুমে একা রেখে আসার অজুহাত দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি তাদের।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন