জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসতে পারবে না। মার্কিন বিচার বিভাগ মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান এই নাগরিককে মার্কিন ভূখণ্ডে মুক্ত করা হয়, এরপর ক্যানবেরার উদ্দেশে একটি বিমানে চড়েছেন তিনি। সাইপ্যান থেকে ক্যানবেরায় পৌঁছতে তার প্রায় ৬ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের মতো লাগবে।
আজ বুধবার একজন মুক্ত মানুষ হিসেবে তিনি আদালত থেকে বের হয়ে আসেন। এতে তার আর নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরতে বাধা রইল না। তবে বিচার বিভাগের এক বিবৃতিতে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘চুক্তি অনুসারে অ্যাসাঞ্জকে অনুমতি ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মার্কিন ‘গুপ্তচরবৃত্তি’ আইন লঙ্ঘনের দায় স্বীকার করে নেওয়ার চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের সঙ্গে আপস রফায় পৌঁছানোর পর সোমবার যুক্তরাজ্যের একটি উচ্চ নিরাপত্তার কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
চুক্তি অনুযায়ী পরদিন মঙ্গলবার সকালেই তিনি যুক্তরাজ্য থেকে নর্দান মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন।
এর আগে সকালে সাইপানের জেলা জজ রামোনা ম্যাংলোনার আদালতে হাজির হন ৫২ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জ। তিনি মার্কিন আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করবেন, তা আগেই জানা গিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
চুক্তিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁসের যে ফৌজদারি অভিযোগ অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, আদালতে তা স্বীকার করে নেবেন তিনি।
দোষ স্বীকার করে নেওয়ার সিদ্ধান্তের পর সোমবার ব্রিটেনের বেলামার্শ কারাগার থেকে ছাড়া পান অ্যাসাঞ্জ। এরপর তিনি প্রশান্ত মহাসাগরের নর্দান মারিয়ানা আইল্যান্ডসের উদ্দেশে পাড়ি দেন। স্থানীয় সময় বুধবার সকালে দ্বীপটিতে অবস্থিত মার্কিন আদালতে পৌঁছেন তিনি। সেখানে শুনানি শেষে অ্যাসাঞ্জের সাজা ঘোষণা করেন বিচারকরা।
তার পাঁচ বছর দুই মাস কারাদণ্ডের সাজা হতে পারে।
তবে যুক্তরাজ্যে এরই মধ্যে একই সময় কারাভোগ করেছেন তিনি। মার্কিন বিচার বিভাগের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, কারাগারে থাকা ওই সময়কে তার সাজাভোগের সময় হিসেবে ধরা হবে। ফলে তাকে নতুন করে আর কারাগারে থাকতে হবে না।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন