বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য, “আমলাদের দিকে আঙ্গুল না তুলে রাজনৈতিক ব্যক্তিদেরও আয়নায় নিজ চেহারা দেখা আহ্বান। করাপশন ইজ এ ওয়ে অব লাইফ অ্যাক্রস দ্য ওয়ার্ল্ড। বাংলাদেশেও দুর্নীতি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।”-এর তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে এবং উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা বলেছেন, এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি প্রকারান্তরে অসৎ-দুর্নীতিবাজ আমালাদের রক্ষার চেষ্টা মাত্র। রাজনীতিবিদদের আয়নায় নিজের চেহারা দেখতে বলার মাধ্যমে তিনি কি প্রমান করলেন দুর্নীতিবাজ আমলাদের দুর্নীতির সাথে তিনি ও তার দলের রাজনীতিবিদরাও জড়িত ?
বুধবার (২৬ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অসৎ ব্যবসায়ী ও দুর্নীতিবাজ আমাদের বাচাতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক প্রকারান্তরে রাজনীতিবিদদের দুর্নীতিবাজ বানানোর অপতৎপরতা চালাচ্ছেন বলেই প্রতিয়মান হচ্ছে। যেখানে নিজের মধ্যে দুর্নীতি রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সম্ভব হলেও সেটি টেকসই হবে না। সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে সমাজ থেকে দুর্নীতি কমিয়ে আনতে হবে। আর এই কাজটি করতে হবে রাজনীতিবিদদেরই। সেখানে দুর্নীতিবাজ আমলাদের রক্ষার চেষ্টা করে তিনি আসলে দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চাচ্ছেন ? দেশবাসী জানতে চায়।
এনডিপি চেয়ারম্যান বলেন, ১/১১ সময়ও সুপরিকল্পিতভাবে দেশের রাজনীতিবিদদের নিন্দিত করা, কুৎসা রটানোর মাধ্যমে দেশকে রাজনীতি শূণ্য করার যে চেষ্টা চলছিল আ"লীগ সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যে সেটাই পুনরায় প্রতিধ্বনীত হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, এ দেশ স্বাধীন করেছে, দেশের উন্নয়ন করছে রাজনীতিবিদেরাই। এখন সেই রাজনীতিবিদদের দুর্নীতিবাজ প্রমাণ করতে ও তাদের ব্যর্থ হিসেবে তুলে ধরতে কিছু লোক তৎপরতার সাথে কোনভাবে তাল মিলানো শুভ লঙ্খন নয়।
তিনি আরো বলেন, রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি শিখিয়েছে দুর্নীতিবাজ আমলারা। তারা অবসরে যাওয়ার পর স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করার উদ্দেশ্যে দলে বিভাজন সৃষ্টি করেন। দলীয় সংসদ সদস্য মনোনয়ন লাভের জন্য দুর্নীতিবাজ আমলারা এসব করেন। এবং অনেকাংশেই তারা সফল হয়েছেন বলেই আজ রাজনীতি আজ রাজনীতিবিদদের নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেছে। এর দায় ওবায়দুল কাদেররা এড়াতে পারেন না।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালিত হতে হবে রাজনীতিবিদদের দারাই। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারের নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। দুর্বল রাজনৈতিক নেতৃত্বের কারণে আমলারা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ’৯৬ সালে অতিউত্সাহী আমলারা জনতার মঞ্চ করে। আবার ২০০৬ সালে ক্ষমতা পরিবর্তনের লক্ষে আমলারা উত্তরা ষড়যন্ত্র করে। এতে তারা চাকরি বিধিলঙ্খন ও শপথ ভঙ্গ করেছেন। যা রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ। কিন্তু এদের কোনো বিচার হয়নি। আমলারা জনগণের সেবক হয়ে এ ধরনের কাজ যেন না করতে পারে, সেজন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সজাগ থাকতে হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন