যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রার্থী রুশনারা আলী,কমুনিটির কাছে বরাবরের মতন তাদের সমর্থন চাইছেন

gbn

আনসার আহমেদ উল্লাহ,,

 

আগামী ৪ জুলাই যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাধারণ নির্বাচন। ২০১০ সালের যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রার্থী রুশনারা আলী, পূর্ব লন্ডনের বাংলাটাউনের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসনে জয়ী হন। তিনি এবারও দাঁড়িয়েছেন এবং বাঙালি কমুনিটির কাছে বরাবরের মতন তাদের সমর্থন চাইছেন।

 

তিনি বলেন, ‘২০০০ সালে প্রথম ব্রিটিশ বাঙালি নির্বাচিত সাংসদ হিসাবে আমি গর্বিত। আমার সংসদীয় কর্মজীবনে আমি যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধন জোরদার করার জন্য কাজ করেছি । আমি বাংলাদেশ সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রূপের সভাপতিত্ব করেছি এবং বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূত হিসেবে কাজ করেছি । এর ফলে আমাদের দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করেছে

 

এখানে উল্লেখ্য যে রুশনারা আলী ২০১৬ সাল থেকে ব্রিটিশ সরকারের বাংলাদেশ বিষয়ক বাণিজ্য দূত হিসাবে দায়িত্বরত । ‘ডিপার্টমেন্ট অব বিজনেস এন্ড ট্রেড’ এবং ‘ফরেন অফিস ও অন্যান্যদের নিয়ে বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য বাড়ানো, শ্রমিকদের জীবনমান উন্নতকরণে কাজ করেছেন । এভিয়েশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে একটি চুক্তি নিশ্চিত করেছেন যার মূল্যমান হবে এক বিলিয়ন পাউন্ডের বেশি। এতে বাংলাদেশের মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।  এভিয়েশন সেক্টরে নতুন কাজের সুযোগ করে দেবে। এই সেক্টরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন প্রতিরোধে  বাংলাদেশের উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজন রয়েছে।

 

 

রুশনারা আলী আরোও  বলেন,’আমি ব্রিটিশ বাঙালিদের জন্য অত্যন্ত গর্বিত যারা ব্রিটিশ সমাজ, সংস্কৃতি এবং অর্থনীতিতে অবদান রেখেছেন। ব্যবসা থেকে রাজনীতি, খেলাধুলা, শিক্ষা এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে বাঙালি অগ্রগামীরা রয়েছেন। লেবার পার্টির সাথে  ব্রিটিশ বাঙালি সম্প্রদায় এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক গভীরভাবে প্রোথিত। এটি ১৯৭১ সালের মতো যখন আমার পূর্বসূরি পিটার শোর সহ লেবার পার্টি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনকে সমর্থন করেছিল। ভবিষ্যতের শ্রম সরকারের নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে ব্রিটিশ বাঙালিদের স্বার্থ ও উদ্বেগ নিশ্চিত করার জন্য আমি সবসময় কাজ করব।‘

পেলেস্টাইনের ব্যাপারে তিনি বলেন অক্টোবরের ২৭ তারিখে আমি আমার সহকর্মী কয়েকজন মিলে  সিজ ফায়ারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছি। জাতিসংঘও এ ব্যাপারে আহবান জানিয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে ভুক্তভোগী না হয়, বিশেষ করে গাজায় যেভাবে হামলা করা হয়েছে, সেটি আমরা কোনোভাবেই সমর্থন করি না। সিজফায়ারের বিষয়ে পরবতীর্তে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি)  পালার্মেন্টে একটি প্রস্তাব আনে। আমরা আমাদের দলের নীতি অনুযায়ী অন্য পার্টির প্রস্তাব সমর্থনও করিনি বা এর বিরুদ্ধেও যাইনি। আমরা বিরত থেকেছি। এর মানে হলো প্রস্তাবটিকে এগিয়ে যেতে দেয়া। আমাদের পলিসি হলো আমাদের নিজস্ব প্রস্তাবকে এগিয়ে নেয়া। আমাদের প্রস্তাবে  যুদ্দ্ববিরতি রয়েছে।  কিন্তু এটা নিয়ে অনেকেই বলেছেন আমরা সিজফায়ারে সমর্থন দিচ্ছি না। এটি একেবারেই সঠিক নয়। এছাড়া পার্লামেন্টে এসব প্রস্তাব আসার আগেই আমি আমার ওয়েবসাইটে এবং বিৃবতিতে যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানিয়েছি।  আমি আমার পালার্মেন্টারি জীবনের পুরোটাই ফিলিস্তিনিদের জন্য ক্যাম্পেইন করেছি। আমার প্রথম বক্তব্যে থেকে গাজার অবরুদ্ধ অবস্থার অবসান ঘটানোর জন্য কথা বলে আসছি। আমি ২০১১ সালে দখলকৃত ফিলিস্তিনি এলাকাসহ অনেক স্থান সফর করেছি। ফিরে এসে পালার্মেন্টে ক্যাম্পেইন করেছি।  আমাদের পার্টি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির বিষয়টি সমর্থন করছে।

 

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন