বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হচ্ছে সুন্দরবনের মধু

সুন্দরবনের মধুকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত করতে সকল তথ্য পর্যালোচনা ও যাচাই করে জার্নাল আকারে প্রকাশের জন্য বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে। জার্নাল প্রকাশের ২ মাস পর আবেদনকারিকে জিআই সনদ দেয়া হবে।

রবিবার (৩০ জুন) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ফয়সল হাসান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকের আবেদন পর্যালোচনা করে প্রাপ্ত তথ্যাদি জার্নাল আকারে প্রস্তুত করে বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে।

জার্নাল প্রকাশের তারিখ থেকে দুই মাস সময়ের মধ্যে তৃতীয় কোনো পক্ষের আপত্তি বা বিরোধিতা না পাওয়া গেলে, পণ্যটিকে জিআই হিসেবে নিবন্ধন করা হবে। 

 

এতে আরো বলা হয়, ২০১৭ সালের ৭ আগস্ট সুন্দরবনের মধুকে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জিআই সনদ দেয়া প্রতিষ্ঠান ডিপিডিটি ওই আবেদন পর্যালোচনা করে আরো প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়ার জন্য আবেদনকারীকে অনুরোধ জানায়। ডিপিডিটির অনুরোধের প্রেক্ষিতে সুন্দরবনের মধুর পুষ্টিগুণ বিষয়ে বিএসটিআই একটি পরীক্ষা প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ডিপিডিটিকে দেয়।

একই সঙ্গে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন আরও তথ্য সংগ্রহ করে গত ২৭ জুন তারিখে ডিপিডিটিতে পাঠায়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সুন্দরবনের মধুকে জিআই হিসেবে নিবন্ধন করার ঘোষণা দেয়া হলো।

 

জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রতিবেশী দেশ ভারত সুন্দরবনের মধুকে তাদের জিআই হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি ইন্ডিয়ার (আইপিইন্ডিয়ার) ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে সুন্দরবনের মধুর জিআইর জন্য আবেদন জমা হয়।

সকল তথ্য-প্রমাণ যাচাই করে প্রায় ৩ বছর পর চলতি বছরে জানুয়ারি মাসে সুন্দরবনের মধুকে জিআই হিসেবে ঘোষণা দেয়। 

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন