রাজলক্ষ্মী মৌসুমী-
=================================================
কি বলি তোমায় এখন যৌবন তোমার,
তুমি যে যখন তখন অঝোরে ঝরো।
অবিরাম রিনি ঝিনি বৃষ্টি
এযে কেমন অনাসৃষ্টি ।
তা কি তুমি বুঝনা?
সময়ে অসময়ে আসা যাওয়া
কি যে করি ভেবেছিলেম যাবো মাওয়া।
কত লোকের আনাগোনা
রিকশার টিকিটিও দেখিনা।
এলোমেলো ভাবনায় পাঁজরে ব্যাথা ধরেছে তীব্র
কেমন করে যাই কিছুই পাইনিকো ছাতাটও ছিদ্র।
জানিনা তুুমি কি এখনও ওখানেই দাঁড়িয়ে?
আমি কি করে আসি বলো? এতো বৃষ্টির জল মাড়িয়ে?
অঝোরে বাদল নেমেছে আজ থামার অবকাশ নাই।
মনে পড়ে সেই ছোট্ট বেলায় আবার ফিরে যাই।
তুমি আমি কতনা নৌকায় চড়েছি
ঘরের চালে টুইয়ের নীচে দু'জনায় ভিজেছি।
কাগজের নৌকা বানিয়েছি লেখার কাগজ ছিঁড়ে।
বকুনি খেয়েছি কত, তবুও শুনিনি মায়ের কথা,
যদি সেই অনুভূতিটুকু আজ দেখাতে পারতাম বুক চিরে।।
জানালার শিক ধরে সবুজ পাতার যৌবন সঞ্চয় করে রেখেছি দু'চোখ ভরে।
এলোমেলো বাতাসে বৃষ্টি আর সবুজ গাছের প্রগাঢ় প্রেমের ঢলাঢলি আজো মনে পড়ে।
শিলাবৃষ্টি তে আম কুড়ানোর ছলে কুড়িয়েছি কত শিল নোড়া।
চলোনা দু'জনে মিলে আবার বাদলের ঝর্ণা ধারায় অবগাহন করি?
মনে পড়ে তোমার? গুরুগুরু মেঘের গর্জনে আমরা দৌঁড়ে আশ্রয় নিয়েছি বিশাল গাছের তলায়।
সবুজ পাতাগুলো চিক চিক করছিলো আর টুপটাপ
শব্দে কী দারুণ আনন্দঘন মুহূর্তগুলো তাইনা?
সেকি ভুলা যায়? জন্ম জন্মান্তর মনে থাকবে। কেননা---
তোমার সুঠাম বুকে শান্তির আশ্রয়ে ঠাঁই নিয়েছিলাম, এ যেনো স্বর্গীয় সুখের স্থান।
জানো? আজো আমায় রঙিন অনুভূতি গুলো অতীতে নিয়ে যায়।
ভুলে যাই , আমি যে এখন কঠিন জগতে দাঁড়িয়ে।
এখন সবি অন্যরকম লাগে প্রয়োজনের দাবীতে।
তখন কিন্তু মনে হতো না, আজকের মতো অবিরাম বৃষ্টিকে অনাসৃষ্টি।
থাকো তুমি অপেক্ষায় আমি আসবোই
এই অনাসৃস্টিতে ভিজে যাক সব,তবুও
আসছি এখনি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন