অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছেন সিনেটর ফাতিমা পেম্যান (২৯)। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে ভোট দেওয়ার কয়েক দিন পর এ ঘোষণা দিলেন তিনি। বিবিসি এক প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
ফাতিমা বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আমি পার্টির এমন একটি বিষয় নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছি, যে বিষয়টি নিয়ে আমি কোনোভাবেই আপস করতে পারি না।
’ এ সিদ্ধান্তের জন্য তিনি ‘গভীরভাবে মর্মাহত’ বলেও জানান।
প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজি এক বিবৃতিতে ফাতিমাকে তার নেতৃত্বের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাকে ভয় দেখিয়ে পদত্যাগ করানোর অভিযোগটি অস্বীকার করে।
এর আগে লেবার পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দলের নীতিগত অবস্থানকে যারা দুর্বল করে দেয়, তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হয়।
দলীয় নীতি ভঙ্গ করার জন্যই ফাতিমাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দলের ককাস থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সপ্তাহের শুরুতে ফাতিমাও এক বিবৃতিতে জানান, লেবার পার্টি তাকে বহিষ্কার করেছে। তাকে মিটিং, গ্রুপ চ্যাট ও সব ধরণের কমিটিতে থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ফাতিমা এখন স্বতন্ত্র সিনেটর হিসেবে ক্রসবেঞ্চে যোগ দিতে পারবেন।
পদত্যাগ ঘোষণার সময় সংবাদ সম্মেলনে ফাতিমা বলেন, ‘আমি জানি অবিচারের শিকার হলে কেমন লাগে। তবে অন্যদের ক্ষেত্রে ভিন্ন রকম হতে পারে। আমার পরিবার শরণার্থী হওয়ার জন্য যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ছেড়ে এখানে আসেনি। নিরপরাধ মানুষের ওপর অত্যাচার চালাতে দেখলে আমি কিভাবে নিরব থাকি।’
গাজা যুদ্ধ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিতে অস্থীতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সব দলই এ বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে মোকাবেলার চেষ্টা করছে।
১৯৯৬ সালে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসলে ফাতিমার পরিবার পালিয়ে যায়। ২৯ বছর বয়সী এ আইন প্রণেতা অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ও একমাত্র হিজাব পরিহিত ফেডারেল রাজনীতিবিদ।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন