নিজের কৃতকর্মের শাস্তি অনেক আগেই ভোগ করেছেন রেফারি ফেলিক্স জাওয়ার। ২০০৫ সালে জার্মানিতে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অপরাধে ৬ মাস নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ফেলিক্স। সেই কালো অধ্যায় পেছনে ফেলে এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা রেফারি তিনি।
ম্যাচ পরিচালনার দক্ষতার কারণেই সবশেষ উয়েফা নেশন্স লিগের ফাইনালের দায়িত্বও পালন করেছিলেন ফেলিক্স।
তারাই ধারাবাহিকতায় এবারের ইউরোতেও ম্যাচ পরিচালনা করছেন। ইতিমধ্যে তিন ম্যাচও পরিচালনা করেছেন তিনি। আগামী ১০ জুলাই নেদারল্যান্ডস-ইংল্যান্ডের শেষ চারের ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বেও থাকবেন এই জার্মান রেফারি।
তবে শেষ চারের ম্যাচে ফেলিক্সের নাম ঘোষণার পর থেকেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
বিতর্কের পেছনের মূল কারণ হচ্ছে তার সঙ্গে জুড বেলিংহামের দ্বন্দ্ব। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে খেলার সময় ফেলিক্সের সমালোচনা করে জরিমানা গুনেছিলেন ইংল্যান্ডের মিডফিল্ডার। ২০২১ সালে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ম্যাচে ৩-২ গোলে হেরে যাওয়ার পর বেলিংহাম জানিয়েছিলেন, বায়ার্নকে ইচ্ছাকৃতভাবে একটি পেনাল্টি উপহার দিয়েছেন রেফারি। অতীতে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকা একজন রেফারির কাছে আর কী আশা করতে পারি?।
সেই ঘটনার প্রভাব শেষ চারের ম্যাচে পড়তে পারে বলে মনে করছেন ইংল্যান্ডের সমর্থকেরা। পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে ফেলিক্স নেদারল্যান্ডের পক্ষে সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। তাই এমন ঘটনা জানার পরও তাকে কেন উয়েফা এ ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন তা বুঝতে পারছেন না সমর্থকেরা।
এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তাই উয়েফা এবং ফেলিক্সকে ধুয়ে দিচ্ছেন সমর্থকেরা। ইয়ান আগ ফিউর্টফ্ট নামে এক সাংবাদিক লিখেছেন,‘আমি বুঝতে পারছি না কোন চিন্তা থেকে উয়েফা জাওয়ারকে ইংল্যান্ড ম্যাচের দায়িত্ব দিয়েছে।
২০২১ সালে ম্যাচ শেষে বেলিংহাম আমাকে বলেছিল জার্মান রেফারি ৪০ হাজার ইউরো জরিমানা করেছিল।’
এক নেটিজেন লিখেছেন,‘সত্যি আমি বুঝতে পারছি না ইংল্যান্ড ম্যাচে কেন জাওয়ার রেফারি। জুড এবং তার ঘটনাটি যখন সবার জানা।’ আরেক নেটিজেন লিখেছেন,‘ইংল্যান্ড-নেদারল্যান্ড সেমিফাইনালে একজন পরিচিত ম্যাচ ফিক্সার ফেলিক্সকে দায়িত্ব দেওয়াটা আপত্তিকর। ইংল্যান্ড বাড়ি ফিরুক এমনটা নিশ্চিত করা হচ্ছে! বিরক্তিকর।’
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন