বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) প্রশ্ন ফাঁস চক্রের আরো ১৪ জনের নাম সামনে এসেছে। তাদের খুঁজছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ওই ১৪ জনের মধ্যে বেশ কয়েকজন মাস্টারমাইন্ড রয়েছেন বলে জানিয়েছে সিআইডি সূত্র। কোনো নিয়োগ পরীক্ষা এলেই প্রশ্ন ফাঁস করে অর্থ লোপাটে মেতে উঠত সংঘবদ্ধ চক্রটি।
প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়ি চালক আবেদ আলীসহ ছয়জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি ১১ জন আদালতে স্বীকারোক্তি দেননি। তাদের সবাইকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত সোমবার রাতে পল্টন থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইনে সিআইডির উপপরিদর্শক নিপ্পন চন্দ্র বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন
যেভাবে ফাঁস হয়েছিল পিএসসির প্রশ্ন
এজাহারনামীয় আসামিদের মধ্যে ১৭ জনের বাইরে আরো ১৪ জন হলেন পিএসসির সাবেক সহকারী পরিচালক নিখিল চন্দ্র রায়সহ শরীফুল ইসলাম ভূঁইয়া, দীপক বনিক, মো. খোরশেদ আলম খোকন, কাজী মো. সুমন, এ কে এম গোলাম পারভেজ, মেহেদী হাসান খান, গোলাম হামিদুর রহমান, মুহা. মিজানুর রহমান, আতিকুল ইসলাম, এ টি এম মোস্তফা, মাহফুজ কালু, আসলাম ও কৌশিক দেবনাথ। এঁরাও বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে তথ্য পেয়ে যাচাই চলছে।
এদিকে জবানবন্দি দেওয়া ছয়জনের মধ্যে পিএসসির অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান বলেছেন, ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় ১০ জন প্রার্থীর কাছে প্রশ্নফাঁস করেছেন তিনি। এর মধ্যে তিনজন বর্তমানে বিভিন্ন ক্যাডারে চাকরি করছেন। ওই বিসিএসে তার ফাঁস করা প্রশ্নে ১০ জনের মধ্যে ছয়জন লিখিত পরীক্ষায় পাস করেন। সেই ছয়জনের মধ্যে তিনজন মৌখিক পরীক্ষায় বাদ পড়েন।
আরও পড়ুন
প্রশ্ন ফাঁসে ছয় আসামির দায় স্বীকার, টুপি দিয়ে মুখ ঢাকলেন আবেদ আলী
তার তথ্যগুলো এখন তদন্ত করছে সিআইডি।
তদন্তে যদি তার ফাঁস করা প্রশ্নে সত্যিই ওই তিনজন কর্মকর্তার বিভিন্ন ক্যাডারে চাকরি করার সত্যতা মেলে তবে তাদের বিষয়েও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবে সিআইডি।
দায় স্বীকার করা অন্য আসামিরা হলেন- অফিস সহায়ক (ডিসপাস) সাজেদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েম হোসেন এবং বেকার যুবক লিটন সরকার।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন