দেশে ফেসবুক ও টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ রয়েছে। তবে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটিতে সক্রিয় রয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। নিয়মিত পোস্ট করছেন তিনি। সাধারণের জন্য বন্ধ থাকলেও নিজের অ্যাকাউন্টে কেন সক্রিয় থেকেছেন সেই বিষয়ে জানিয়েছেন পলক।
রবিবার (২৮ জুলাই) সকালে বিটিআরসি ভবনে মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ বিষয়ে জানান তিনি।
সাধারণ মানুষের জন্য ফেসবুক বন্ধ রেখে প্রতিমন্ত্রী নিজে তা ব্যবহার করছেন- এমন সমালোচনা রয়েছে নাগরিকদের মধ্যে। জুনাইদ আহমেদ বলেন, গুজব প্রতিরোধে মানুষকে সঠিক তথ্য জানাতে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় রয়েছেন। তিনিসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোও এভাবে সক্রিয় থাকতে পারবে।
তিনি বলেন, ৩১ জুলাই ফেসবুক, টিকটকসহ সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিনিধিদের বিটিআরসিতে তলব করা হয়েছে। তারা সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে। ব্যাখ্যা না দেয়া পর্যন্ত ফেসবুক ও টিকটকসহ সোশ্যাল মিডিয়া খুলে দেয়ার ব্যাপারে বর্তমান সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে সরকার।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও সহিংসতা হয়।
সরকার ১৯ জুলাই মধ্যরাত থেকে কারফিউ জারি করে, যা সময়-সময় শিথিল রেখে এখনো বলবৎ রয়েছে। কারফিউর আগেই ১৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে ফোর-জি নেটওয়ার্ক বন্ধ করায় দেশের মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এরপরের দিন ১৮ জুলাই রাত পৌনে নয়টা থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগও বন্ধ হয়ে যায়। এতে পুরো দেশই ইন্টারনেট–বিচ্ছিন্ন ছিল।
পাঁচ দিন পর গত মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে পরীক্ষামূলকভাবে দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়।
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কূটনীতিক পাড়া, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, ফ্রিল্যান্সিং ও প্রযুক্তি এবং রপ্তানিমুখী খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। এরপর বুধবার (২৪ জুলাই) রাত থেকে আবাসিক এলাকায়ও ইন্টারনেট সেবা মিলছে। তবে তখন থেকেই বন্ধ আছে ফেসবুক ও টিকটকের ক্যাশ সার্ভার।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন