ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি ||
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের জামায়াত নেতা সুফি আলম সোহেল ও ইউপি মেম্বার সাজ্জাদকে ডিবির পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তিনি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। গত বোরবার বিকালে সুনামগঞ্জ শহর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাশকতা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিক করেছেন পুলিশ। ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের মধ্য গণেশপুর গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র।
পুলিশ জানায় জামায়াত নেতা সুফি আলম সোহেল ও ইউপি মেম্বার সাজ্জাদ মিয়ার বিরুদ্ধে ২টি নাশকতা ও সুরমা,চেল মরা চেলা নদীতে ইউপির পরিষদ নামে একাধিক চাদাবাজির মামলার অভিযোগে সুনামগঞ্জের ডিবির পুলিশ তাদেরকে প্রেপ্তার করে। থানার সুত্রে জানায়, জামায়াত নেতা,সুনামগঞ্জের সাবেক জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি ও ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সূফি আলম সোহেল ও ইউপি মেম্বার সাজ্জাদ মিয়া চাদাবাজি মামলা চেক জালিয়াতি সহ ১৭টি মামলা আসামীরা ইউপি চেয়ারম্যান সূফি আলম সোহেল। তার বিরুদ্ধে রয়েছে,গত ৭ জুলাই রাতে ছাতক বাজার পুরাতন কাস্টম রোডস্থ মোসার্স জে,আলম এন্ড ব্রাদার্সের বেআইনী ভাবে প্রবেশ করে দাবীকৃত দশ লাখ টাকা চাদা চাদা না দেয়ায় জামায়াত নেতার নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও তার ক্যাশ ভেঙ্গে প্রায় তিন লাখ হাতিয়ে নেন। এ ঘটনায় গত ৮ জুলাই উপজেলার ইসলামপুর ইউপির ইউনিয়নের গনেশপুর নোয়াগাও গ্রামের মৃত হাজী ফরিদ উদ্দিনের ছেলে বাবুল আহমদ বাদী হয়ে জামায়াত নেতা,সুনামগঞ্জের সাবেক জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি ও ইনলামপুর ইউপির চেয়ারম্যান সুফি আলম সোহেল,মেম্বার সাজ্জাদ সহ ২২ জন ও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গত ২৯ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রকাশ্যে চেলা নদী ফুলফুলি বিলে পাথরবাহী এম,বি শুভ সম্রাট বাল্কহেড চালক আব্দুল গফ্ফারকে আটক করে তার কাছে এক লাখ টাকার চাদা দাবি করে করে জামায়াত নেতা ইউপি চেয়ারম্যান সুফি আলম সোহেল। জামায়াত নেতা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরদ্ধে চুরি, মারামারি, ভাংচুর লুটপাট,প্রতারনা,থানায় হামলা ও নাশকতার মামলায় ২০২৩ সালে ২৭ নভেম্বর পুলিশ নাশকতার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। গত ২০ জুলাই নাশকতা মামলায় ডিবির পুলিশ আটক করেছে। তার বিরুদ্ধে ১৭ টি মামলা আদালতে রয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেন। এব্যাপারে থানার ওসি শাহ আলম ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি মেম্বার গ্রেপ্তারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন জামায়াত নেতা,সাবেক সুনামগঞ্জ জেলার ছাত্র শিবিরের নেতা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নাশকতা,চাদাবাজি চুরি,মারামারি ভাংচুর লুটপাট ও থানায় হামলাসহ ১৭টি মামলা রয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন