প্যারিস অলিম্পিকের পুলে নামবেন লিঁও মারশাঁ আর রেকর্ড হবে না, এমনটা তো হতে পারে না। এখন পর্যন্ত তিনটি সোনা জিতেছেন ফ্রান্সের সাঁতারু। যার প্রতিটিতেই নতুন করে অলিম্পিক রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
লা ডিফেনসে অ্যারেনায় রেকর্ড গড়ার শুরুটা করেছিলেন ৪০০ মিটার ব্যক্তিগত মেডলির ইভেন্ট দিয়ে।
৪ মিনিট ০২.৯৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে কিংবদন্তি মাইকেল ফেলপসের রেকর্ড ভেঙে দেন ফ্রান্সের পোস্টার বয়। ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে ৪ মিনিট ০৩.৮৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে এত দিন রেকর্ডটির মালিক ছিলেন অলিম্পিকে ২৮ পদকের মালিক ফেলপস। যার ২৩টি জেতেন স্বর্ণ। নিজের রেকর্ড ভাঙা গ্যালারিতে বসে দেখেন যুক্তরাষ্ট্রের সাঁতারু।
মারশাঁ গতকাল প্যারিস অলিম্পিকের অ্যাকুয়াটিকসের সেন্টারে যা করেছেন তা করতেন পারেননি অলিম্পিকে সর্বোচ্চ পদকজয়ী ফেলপসও। একই দিনে সাঁতারের দুটি ইভেন্ট রেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছেন ফ্রান্সের ঘরের ছেলে মারশাঁ। সেটিও আবার দুই ঘণ্টার ব্যবধানে।
২০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ২ ঘণ্টা পরেই গলায় আরেকটি স্বর্ণ পদক ঝোলান মারশাঁ।
২২ বছর বয়সী সাঁতারুর প্যারিস অলিম্পিকের তৃতীয় স্বর্ণপদক জয়ের ইভেন্টটি ছিল ২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকের। দুই ইভেন্টেই নতুন করে রেকর্ড গড়েছেন তিনি। ২০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে যাকে পেছনে ফেলে সোনা জিতেছেন সেই ক্রিস্তফ মিলাক আবার রেকর্ডটির মালিক ছিলেন। টোকিও অলিম্পিকে ১ মিনিট ৫১.২৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনা জিতেছিলেন হাঙ্গেরির সাঁতারু।
গতকাল মিলাকের দুটি রাজত্বই কেড়ে নেন মারশাঁ।
১ মিনিট ৫১.২১ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনা জয়ের পথে অলিম্পিকের রেকর্ডটিও নিজের করে নেন। ২ ঘণ্টা পর মিলাকের মতো রাজত্ব হারিয়েছেন জ্যাক স্টাবলেটি–ক্রুকও। ২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে সোনা ধরে রাখার মিশনে নেমে মারশাঁর কাছে পরাজয় দেখেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাঁতারু। সঙ্গে টোকিও অলিম্পিকের রেকর্ডটাও হারিয়েছেন তিনি। ২ মিনিট ০৫.৮৫ সেকেন্ডে সোনা জিতে স্টাবলেটি–ক্রুকের রেকর্ড নিজের করে নেন মারশাঁ। ২০২১ সালে স্টাবলেটি–ক্রুক টোকিও অলিম্পিকে রেকর্ডটি গড়েছিলেন ২ মিনিট ০৬.৩৮ সেকেন্ডে।
অলিম্পিকের ইতিহাসে একই দিনে সাঁতারের দুটি ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা জেতা চতুর্থ সাঁতারু মারশাঁ। ফ্রান্সের পোস্টার বয়ের আগে এই কীর্তি গড়েছেন পূর্ব জার্মানির নারী সাঁতারু কর্নেলিয়া এনদের, অস্ট্রেলিয়ার ফ্রেডরিক লেন ও হাঙ্গেরির আলফ্রেড হাইওক।
এমন কীর্তি গড়বেন এটা কখনো বিশ্বাস করেননি মারশাঁ। তবে নিজেকে বিস্মিত করতে সাঁতারে নামার কথা ম্যাচ শেষে জানান তিনি। ২২ বছর বয়সী সাঁতারু বলেছেন, ‘জানতাম খেলাটা শেষ করতে পারব। তবে জিতব এমনটা নয়। আমি কখনো জানতাম না এটা সম্ভব। তবে নিজেকে বিস্ময় উপহার দেওয়ার চেষ্টা থেকে সাঁতারে নেমেছিলাম।’
মারশাঁর ডাবল জয়কে ইতিহাসের অন্যতম সেরা বলে রায় দিয়েছেন ফেলপস। কিংবদন্তি সাঁতারু বলেছেন, ‘তার সঙ্গে কথা বলার তর সইছে না এখন তার অনুভূতিটা কেমন। সম্ভবত খেলার ইতিহাসে আমার দেখা সেরা ডাবল জয়। ছেলেটা সাঁতার কাটতে জানে এটা আমরা জানি। সে দীর্ঘদিন খেলাটিতে থাকবে। সে অনেক ঘটনার সৃষ্টি করবে।’
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন