ফিলিস্তিনি সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকস (পিসিবিএস) প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, ছিটমহলে বিধ্বংসী যুদ্ধের মধ্যে গত অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজার জনসংখ্যার প্রায় ১.৮ শতাংশকে হত্যা করেছে। এই সংঘাতের কারণে গাজার মোট জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য অংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফিলিস্তিনের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৯,৭৯০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন এবং প্রায় ৯২ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
একটি বিবৃতিতে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকস (পিসিবিএস) বলেছে, ৭ অক্টোবর ২০২৩ সাল থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৯ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, ‘যা এই অঞ্চলের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১.৮ শতাংশ।’ ব্যুরোর মতে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের প্রায় ২৪ শতাংশই তরুণ-তরুণী।
স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গত শনিবারও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা শহরের দারাজ পাড়ায় তাবায়ীন স্কুলে হামলা চালালে ১০০ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হন এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া গাজায় দুর্ভিক্ষে এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং প্রায় ৩ হাজার ৫০০ শিশু অপুষ্টি ও খাদ্য সংকটের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।
পিসিবিএস অনুসারে, গাজার প্রায় ৭০ শতাংশ আহত মানুষ নারী ও শিশু। প্রায় ১০ হাজার মানুষ এখনও নিখোঁজ এবং প্রায় দুই মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় ৬২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ নিহতের বয়স ৩০ বছরের কম।
এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে এবং একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর এবং কাতার সক্রিয়ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি এই দেশগুলো এক বিবৃতিতে ইসরায়েল ও হামাসের প্রতি ১৫ আগস্ট আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে। দোহা বা কায়রোয় এই আলোচনা হতে পারে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং তার বিশ্বাস, গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব, বিশেষ করে তার প্রেসিডেন্ট মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন