শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক অ্যান্টনি ব্লিনকেন সোমবার ইসরায়েল ও হামাসকে আলোচনা নষ্ট না করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তি সুরক্ষিত করার ‘শেষ সুযোগ’ হতে পারে এ আলোচনা। কায়রোতে এই সপ্তাহে যুদ্ধবিরতি আলোচনা আবার শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর শুরু হওয়া যুদ্ধের পর থেকে ব্লিনকেন তার নবম আঞ্চলিক সফরে আছেন।
রবিবার তিনি ইসরায়েলে পৌঁছেন। এবার ইসরায়েলে ফিরে তিনি বলেন, ‘এই চুক্তি চূড়ান্ত করতে আমি ফিরে এসেছি।’ তিনি তেল আবিবে ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় বলেন, ‘এটি একটি সিদ্ধান্তমূলক মুহূর্ত—সম্ভবত সবচেয়ে ভালো ও হয়তো শেষ সুযোগ, জিম্মিদের বাড়ি ফিরিয়ে আনার, যুদ্ধবিরতি অর্জন করার এবং সবাইকে টেকসই শান্তি ও নিরাপত্তার পথে নিয়ে আসার।’
এরপর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরুজালেমে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দেখা করেন।
মঙ্গলবার তার কায়রোতে যাওয়ার কথা রয়েছে।
ইসরায়েল ও হামাস—উভয়ই যুদ্ধবিরতির চুক্তি বিলম্বের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করেছে। কূটনীতিকদের মতে, এই চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যে আরো বড় সংঘাত এড়াতে সহায়তা করতে পারে। ব্লিনকেন বলেছেন, ‘আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি, কোনো রকম উসকানি বা উত্তেজনা যেন না ঘটে, যাতে এই চুক্তি সম্পন্ন করতে কোনো সমস্যা না হয় বা সংঘাত আরো তীব্র না হয়।
’
তিনি আরো বলেন, ‘এটি (চুক্তি) চূড়ান্ত করার সময় এসেছে। আর কেউ যেন এমন কোনো পদক্ষেপ না নেয়, যা এই প্রক্রিয়াটিকে ব্যাহত করতে পারে।’
এদিকে মাসব্যাপী মার্কিন, কাতারি ও মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনাগুলো এখনো কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে জুলাইয়ের শেষের দিকে ইরান সমর্থিত নেতাদের হত্যাকাণ্ড ও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মানবিক সংকটের অবনতির পর পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
গত সপ্তাহে কাতারে আলোচনার আগে হামাস মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানায়, তারা যেন নতুন করে আলোচনা না করে।
বরং মে মাসের শেষের দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উত্থাপিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে। বাইডেন রবিবার সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধবিরতি ‘এখনো সম্ভব’ এবং যুক্তরাষ্ট্র ‘হাল ছাড়ছে না’।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন