নিজস্ব প্রতিবেদক ,,
স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা পাঠানোর কথা বলে সিলেটে এক যুবকের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বেলা ২টায় সিলেট মহানগরের মিরবক্সটুলা এলাকা থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যান ভুক্তভোগী। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্তকে আটক দেখায়নি। বলছে- লিখিত অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, মহানগরের শামিমাবাদ আবাসিক এলাকার ৭ নং রোডের ৫ বাসার বাসিন্দা ও নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র এস এম ফাহিমকে (২৫) স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা পাঠানোর কথা বলে তার কাছ থেকে ধাপে ধাপে ২৫ লাখ টাকা নিয়েছেন ঘাসিটুলা লামাপাড়ার ১০ নং বাসার বাসিন্দা আলী আহমদ (৩৮)। ৯ মাস আগে তাদের মধ্যে এ ব্যাপারে মৌখিক কথা হয় এবং প্রথম ধাপে টাকা আদান-প্রদান হয়। কিন্তু ২৫ লাখ টাকা নেওয়ার পরও ফাহিমকে কানাডায় পাঠাননি আলী আহমদ। এক পর্যায়ে ফাহিমের পরিবার তার কাছে টাকা ফেরত চান। কিন্তু টাকা দিতে আলী আহমদ নানা টালবাহানা শুরু করেন।
এ অবস্থায় গত রমজান মাসে বন্দরবাজার এলাকা থেকে আলী আহমদকে আটক করে সিলেট কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যান ফাহিম। সেখানে পুলিশের মধ্যস্থতায় টাকা দেওয়ার সময় ধার্য্য করা হয় এ বছরের জুলাই মাসে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে টাকা না দেওয়ায় মঙ্গলবার ফের আলী আহমদকে আটক করে থানায় নিয়ে যান ফাহিম।
এদিকে, আলী আহমদ বলেন- ২৫ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। তিনি ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়েছেন। টাকা নিয়ে ঢাকার একটি ট্রাভেল এজেন্সিকে দেন এবং প্রসেসিং শুরু করেন। কিন্তু কাজ না হওয়ায় ফাহিমকে টাকা ফেরত দিতে চেয়েছেন তিনি। রমজান মাসে কোতোয়ালি থানায় সেসময়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সামনে টাকা জুলাই মাসে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন আলী আহমদ। কিন্তু এ মাসে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হওয়ায় তিনি কথা রাখতে পারেননি। এ অবস্থায় আজ (মঙ্গলবার) ফাহিম তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
আলী আহমদ আরও বলেন- ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেওয়ার প্রমাণ আমার কাছে আছে। ২৫ লাখ নেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। গত রমজানে যখন থানায় পুলিশ বিষয়টি মীমাংসা করে দেয় তখন একটি কাগজ লেখা হয় এবং এতে দুপক্ষেরই স্বাক্ষর নেওয়া হয়। সে কাগজে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা উল্লেখ আছে। কাগজের কপিটি আমার কাছে আছে।
লিখিত কাগজের বিষয়টি স্বীকারও করেন ফাহিম। তবে তিনি বলেন- ‘চাপে পড়ে’ তিনি সেদিন কাগজে স্বাক্ষর দেন। কিন্তু ২৫ লাখ টাকাই নিয়েছেন আলী আহমদ।
তবে এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি ফাহিম।
এ বিষয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুনু মিয়া বলেন- আলী আহমদকে নিয়ে থানায় এসেছেন ফাহিম। তবে আমরা এখনো আটক করিনি। ফাহিম লিখিত আভিযোগ দিলে তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন