বিয়ানীবাজারে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে কুশিয়ারা

বিয়ানীবাজার সংবাদদাতা ,,

গত ৩-৪ দিনের টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে বিয়ানীবাজারসহ প্রতিবেশী এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
 

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার পর বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা কমে এসেছে। তবে বাড়ছে বিয়ানীবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টের নদ-নদীর পানি। এর মধ্যে কুশিয়ারা নদীর দুটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। গত ৩-৪দিন থেকে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি।

 

 

বৃষ্টিপাত কমে এলেও উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। সুরমা ও সোনাই নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম না করলেও বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে।
 

কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যদিও সকাল ৯ ও দুপুর ১২টায় পানি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড। বিয়ানীবাজার উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের বেশীরভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার আবাদী জমিও পানির নীচে। আলীনগর, চারখাই ও শেওলা ইউনিয়নের অন্তত: ৫টি গ্রামের চলাচলের রাস্তা পানিতে তলিয়ে আছে।

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-সহকারী আবহাওয়াবিদ অমর চন্দ্র তালুকদার বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ৩৬ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ২০৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে এসেছে।
 

 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, সিলেটে বৃষ্টিপাত কমে এলেও বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। সিলেটের বৃষ্টিপাতের ওপর এই অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি নির্ভর করে না। মূলত ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় পাহাড়ি ঢলের ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
 

দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, চলতি সময়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন