জার্মানিতে অনিয়মিত অভিবাসন ও মানবপাচার বেড়েছে ৬০ শতাংশ

২০২৩ সালে জার্মানিতে অভিবাসী পাচারসংক্রান্ত মামলা বেড়ে সাত হাজার ৯০২-এ দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির ফেডারেল ক্রিমিনাল পুলিশ অফিস (বিকেএ)। সংস্থাটি বুধবার বলেছে, ২০২২ সালের তুলনায় এই সংখ্যা অন্তত ৬০ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় এক-চতুর্থাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে চার হাজার ৪০৪। সন্দেহভাজনদের অধিকাংশই সিরিয়া, জার্মানি, তুরস্ক ও ইউক্রেনের নাগরিক।

 

তদন্তকারীরা বলছেন, এসব ঘটনায় মানুষকে কনটেইনারে করে পরিবহন করা হয়েছিল, যা মানুষের জীবন ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। আর এই প্রবণতাকে খুবই উদ্বেগের বলে মনে করেন তারা।


 

এক বিবৃতিতে বিকেএ জানিয়েছে, ‘এসব ঘটনায় ভাড়া নেওয়া সহজ ও যেগুলোর জন্য বিশেষ ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন হয় না, সেসব ভ্যান ব্যবহার করা হয়েছে।’

পুলিশ বলছে, এ ধরনের যাত্রায় দুর্ঘটনা ঘটলে অক্সিজেন বা পানির অভাবের পাশাপাশি হাইপোথার্মিয়া বা আঘাতের ঝুঁকি রয়েছে।

 

সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, ২০২৩ সালে জার্মানিতে সামগ্রিকভাবে অনিয়মিত অভিবাসনও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০২৩ সালে অন্তত দুই লাখ ৬৬ হাজার ২৪৪ জন অনিয়মিত অভিবাসী জার্মানিতে এসেছে, যা তার আগের বছরের তুলনায় ৩৩.৪ শতাংশ বেশি। তবে অধিকাংশ সন্দেহভাজনকে জার্মান ফেডারেল পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।


 

 

২০২৩ সালে ভিসামুক্ত চলাচলের ২৯টি দেশের শেঙেন অঞ্চলের বহিঃসীমান্ত দিয়ে তিন লাখ ৮০ হাজার ২০০টি অনিয়মিত সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার প্রচেষ্টা রেকর্ড করেছে ইউরোপীয় সীমান্ত সুরক্ষা সংস্থা।

২০১৬ সালের পর এই সংখ্যাটি সর্বোচ্চ।

 

জার্মানিতে অনিয়মিত অভিবাসীদের মধ্যে ৫৪ হাজার ২০৭ জন গেছে সিরিয়া থেকে। তুরস্ক থেকে ৩৫ হাজার ৭৩২ জন এবং আফগানিস্তান থেকে গেছে ৩৫ হাজার ৩৭০ জন।

২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে জার্মান সীমান্তে পুলিশের দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা তার আগের বছরের তুলনায় অন্তত ৭ শতাংশ। 

জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজারের নির্দেশে গত বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র ও সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে থাকা সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে দেশটি।

যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

 

 

বিকেএ বলছে, ২০২৩ সালে অভিবাসী পাচারের রুটেও পরিবর্তন আসে। কারণ আগের বছরের তুলনায় ২০২৩ সালে মধ্য ভূমধ্যসাগর হয়ে ইতালি ও পূর্ব ভূমধ্যসাগর হয়ে গ্রিস হয়ে শেঙেনের বাহ্যিক সীমানা পেরিয়ে পাচার বেড়েছে।

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন