মৌলভীবাজার রঘুন্দনপুরের খছরু ভিলার সেলিনা আক্তর সুইটির সহযোগীতায় আতœহত্যার হাত থেকে বেঁচে গেল একটি পরিবার। স্ত্রী ফিরে পেল তার পালাতক স্বামী সন্তান পরিবার। মুক্তি পেলেন ঋনের বেড়াজাল থেকে। রাজনগরে ঋনের দায়ে বাড়িতে থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন আজাদ আলী। স্ত্রী রুনা আক্তার সীমা(২৭) সংসারের খরচ চালাতে না পেরে কোন উপায়ান্তর না পেয়ে পাওনাদারের অপমানে শিশু সন্তান নিয়ে আতœহত্যার সিন্ধান্ত নিয়েছিলেন। জীবনের শেষ মোনাজাত করতে এসেছিলেন দক্ষিন দাশ পাড়ার কাওছার আহমেদ রেনু এর বাড়ির খানকাশরীফে। জীবনের শেষ মোনাজাতে তার হৃদয় বিদারক কান্নায় আবেগআপ্লুত খানকাশরীফের পরিচালক কাওছার আহমেদ রেনু সহ উপস্থিত লোকেরা তার কারন জানতে চান। বেড়িয়ে আসে এক মর্মান্তিক কাহিনী। বোনের বিয়ে ও পরিবারের লোকের ডেলিভারী সংক্রান্ত চিকিৎসার কারনে প্রায় ২ লাখ টাকা ঋনী হয়ে পড়েন উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের শত্র“মন গ্রামের আজাদ আলী । রাজনগর বি আর ডিবি অফিসে চাকুরি করতেন। সব ছেড়ে পালিয়ে যান ঢাকায়। এমতাবস্থায় স্ত্রী সংসারের খরচ চালাতে না পেরে কোন উপায়ান্তর না দেখে পাওনাদারের অপমান সব কিছু মিলিয়ে কোন কিছু ভেবে না পেয়ে সন্তান সহ আতœহত্যার চিন্তা করেন। তার সব কিছু শোনার পর সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন খানকাশরীফের পরিচালক কাওছার আহমেদ রেনু ও মৌলভীবাজার সদরের রঘুন্দনপুরের খসরুভিলার সেলিনা বেগম সুইটি। তাৎক্ষনিক খানকাশরীফের পরিচালক কাওছার আহমেদ রেনু প্রায় ৪ হাজার ৫শত টাকা সাহায্য উঠিয়ে দেন। আর ২ লাখ ঋনের টাকা সেলিনা বেগম সুইটি দেওয়ার প্রতিশ্র“তি দেন। সেই প্রতিশ্র“তি মোতাবেক ১৬ নভেম্বর খানকাশরীফের পরিচালক কাওছার আহমেদ রেনুর বাড়িতে ১ লাখ ৮৫ হাজার তুলে দেন রুনা আক্তার সীমা (২৭) এর হাতে। এর সাথে তার স্বামীর রেসরকারী সংস্থায় একটা চাকুরীর ব্যাবস্থা করে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সেলিনা বেগম সুইটির মামা মো: শহীন আহমদ, পরিবারের সদস্য শহীদ আহমদ, মো: আরিফ, মিলি বেগম, হেলাল মিয়া, আয়ন মিয়া, আরিয়ান মিয়া, রিপন মিয়া। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ রেজাউল করিম সুমন, পাঁচগাও ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য লুৎফুর রহমান প্রমূখ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন