কুলাউড়া প্রতিনিধি ,,
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে ভূমি দখল ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভুয়া প্রত্যায়নপত্র দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ছাড়াও তিনিসহ তার শ্বশুর আব্দুল বাছিত ও চেয়ারম্যান অনুসারীরা সরকারিভাবে আবাসন ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অসহায় দরিদ্র মানুষের কাছ থেকেও একইভাবে টাকা নিয়েছেন। জামাই-শ্বশুরের বিরুদ্ধে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন অভিযোগ তুলেছেন শরীফপুর ইউনিয়নের ভুক্তভোগী অনেক পরিবার।
ভুক্তভোগীরা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, ইউপি চেয়ারম্যার খলিলুর রহমান ২০২১ সালে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে ইউনিয়নে একের পর এক অনিয়ম ও দুর্নীতি শুরু করেন। শুধু তাই নয়, চেয়ারম্যানের দাপট খাটিয়ে তার শ্বশুর আব্দুল বাছিত নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে সাধারণ মানুষদের জায়গা জমি জোরপূর্বক দখল করে নিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে শরীফপুর ইউনিয়নের ইটারগাট এলাকার সিদ্দেক আলী, নছিরগঞ্জ বাজারের ইজারাদার তাজুল ইসলাম, নিশ্চিন্তপুরের আব্দুর রহমান, মানগাঁও গ্রামের জুবায়ের আহমদ ও তৈয়ব আলী, তিলকপুর গ্রামের জয়ন্ত শীল জানান, ইউপি চেয়ারম্যান খলিল বিভিন্ন মানুষদের সরকারী আবাসন ঘর দেওয়ার নামে ভূয়া প্রত্যায়নপত্র, সরকারি প্রজেক্ট থেকে কমিশন এবং নিরীহ মানুষদের জায়গা দখল করে গত ২-৩ বছরে কয়েক লক্ষ টাকার মালিক হয়েছেন। এ ছাড়াও তার আপন শ্বশুর আব্দুল বাছিত নছিরগঞ্জ বাজারে সরকারি জায়গা দখল করে দোকান কোটা নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে যাচ্ছেন। আব্দুল বাছিত একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলেও সংবাদ সম্মেলনে তারা দাবি তুলেন।
এ সময় প্রশাসনের কাছে তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করে চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের পদত্যাগ দাবি করেন ভুক্তভোগীরা। তাছাড়া চেয়ারম্যান ও তার শ্বশুরের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর কুলাউড়া অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তিনি ফোন রিসিভড না করায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন