বিশ্ব চলচ্চিত্রে বহুবার উঠে এসেছে প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগের গল্প। সেখান থেকে বিগত এক যুগে বিশ্বের বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে নির্মিত পাঁচটি ছবি নিয়ে আজকের প্রতিবেদন। যে ছবিগুলো দেখলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহতা হৃদয় কাঁপিয়ে দেবে আপনারও।
টাইডাল ওয়েভ (২০০৯)
দুর্যোগ নিয়ে নির্মিত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম ছবি এটি।
বানিয়েছেন ইউন জি-কুন। ২০০৪ সালের সুনামির প্রসঙ্গ ধরে শুরু হয় গল্প। পাঁচ বছর পর আরো এক মহাসুনামি আঘাত হানে বুসানে। পুরো শহর প্লাবিত হয় এবং বিপর্যয় নেমে আসে জনজীবনে।
ছবিটিতে অভিনয় করেছেন সোল কিউং-গু, হা জি-ওন, পার্ক জুং-হো, উম জুং-ওয়া প্রমুখ। এক কোটি ৬০ লাখ ডলারে নির্মিত ছবিটি আয় করেছিল সাত কোটি ৪৪ লাখ ডলার।
নোয়া (২০১৪)
নুহ নবীর নৌকার প্রসঙ্গ আব্রাহামিক তিন ধর্মগ্রন্থ তোরাহ, বাইবেল ও কোরআনে রয়েছে। মহাপ্লাবনের সময় যে নৌকায় চড়ে প্রাণে বেঁচেছিলেন নুহ, তাঁর পরিবার ও অন্য সব প্রাণী।
বাইবেলে উল্লিখিত প্রেক্ষাপট ধরে নির্মিত হয়েছে হলিউড ছবিটি। পরিচালনায় ড্যারেন আরনোফস্কি।
ছবিতে নুহের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রাসেল ক্রো। আরো আছেন জেনিফার কনলি, রে উইনস্টোন, এমা ওয়াটসন, অ্যান্থনি হপকিনস প্রমুখ। মুক্তির পর ছবিটি দর্শকের বিপুল সাড়া পেয়েছিল।
বক্স অফিসে এর আয় প্রায় ৩৬ কোটি মার্কিন ডলার, যা ছবির বাজেটের তিন গুণ।
কেদারনাথ (২০১৮)
পাহাড়ি বন্যার ভয়াবহতা কেমন, তা দেখা গেছে অভিষেক কাপুরের এই বলিউড ছবিতে। ২০১৩ সালে ভারতের উত্তরাখণ্ডে যে বন্যা হয়েছিল, তাতে প্রাণ হারিয়েছিল ছয় হাজারের বেশি মানুষ। ভারতের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে ছবিটি। এর মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়েছে সারা আলী খানের। তাঁর সঙ্গে আছেন সুশান্ত সিং রাজপুত। ৬৮ কোটি রুপি বাজেটে নির্মিত ছবিটি ১০০ কোটি রুপিরও বেশি আয় করেছিল।
ক্রল (২০১৯)
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ভৌতিক ঘটনার সমন্বয়ে ছবিটি নির্মাণ করেছেন আলেকজান্দ্রে আজা। এক বাবা, তার মেয়ে ও একটি কুকুর তাদের বাড়ির সংকীর্ণ একটি কক্ষে আটকা পড়ে। এর মধ্যে শহরে আঘাত হানে হারিকেন আর তাদের ওপর আক্রমণ করে একটি এলিগেটর। মুক্তির পর ব্যবসাসফল হয়েছিল আমেরিকান ছবিটি। দেড় কোটি ডলার লগ্নির বিপরীতে ৯ কোটি ১০ লাখ ডলার ঘরে তুলেছিলেন প্রযোজক। অভিনয়ে আছেন কেয়া স্কোদেলারিও ও ব্যারি পেপার।
২০১৮ (২০২৩)
প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা বন্যা—দুই দিক দিয়ে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছবি এটি। মালয়ালাম ছবিটি নির্মাণ করেছেন অ্যান্থনি জোসেফ। ২০১৮ সালে ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হয়েছিল ভারতের কেরালা। স্থানীয়রাই একতাবদ্ধ হয়ে বন্যার্ত মানুষকে উদ্ধার করেছিল। সেই গল্প তুলে ধরা হয়েছে সিনেমাটিক কায়দায়। চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, টানা বৃষ্টি ও বন্যার দৃশ্যের জন্য সিজিআই প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়নি। ২২ একর আয়তনের একটি এলাকায় বন্যা তৈরি করে দৃশ্যায়ন করা হয়েছিল। পানির নিচের দৃশ্যও নেওয়া হয়েছে বাস্তব উপায়ে। অভিনয় করেছেন টভিনো থমাস, কাঞ্চাক্কো বোবান, আসিফ আলি, নারায়ণ, বিনীথ শ্রীনিবাসন প্রমুখ। ২৬ কোটি রুপি বাজেটে নির্মিত ছবিটি আয় করেছিল ১৭৬ কোটি রুপি। ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসে (দক্ষিণ) সেরা মালয়ালাম ছবি ও সেরা পরিচালক বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে এটি।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন