সততায় বাঁচুন! 

কী জিল্লাতির জীবন দু'চারজনে ভোগ করছে তা দেখেও শিক্ষা হয় না? হাজার কোটি টাকার মালিক অথচ ঘুম নাই===

রাজু আহমেদ, প্রাবন্ধিক।  

অবৈধ আয়ে সন্তানের জন্য দুধ কেনেন, বাবা-মায়ের জন্য ওষুধ কেনেন, স্ত্রী-পরিবারের জন্য খাদ্য কেনেন কিংবা নিজের জন্য ভবিষ্যতের নিরাপত্তা কেনেন!- একটুও ভয় করে না? কাঁপে না বুকের বাম পাশ? একজনকে ঠকিয়ে, বুক ভরা ব্যথা দিয়ে কিংবা দীর্ঘশ্বাস কুড়িয়ে অন্যের যে অধিকার আপনি পকেটে নিলেন- একবারও মনে হয়নি আপনি নিজের ভাগে বিষ ঢোকালেন! আপনার ধ্বংসের গতিপথ আপনি-ই ঠিক করলেন। 

 

খাদ্যের সাথে যে অবৈধকে মিশ্রণ করে সে শরীরে সুস্থ থাকলেও মস্তিষ্ক পঁচে যায় যে। আইন আপনার পশম ছিঁড়তে পারলো না, একশো বছর বাঁচলেন কিংবা সমাজে ধনাঢ্যের খ্যাতিতে খুব সুখ-সম্মান কুড়ালেন- জীবন কি একশো বছরেই শেষ? সব হিসাব-নিকাশ এখানেই চুকে যাবে? একা হয়ে ভাববেন! 

 

কী জিল্লাতির জীবন দু'চারজনে ভোগ করছে তা দেখেও শিক্ষা হয় না? হাজার কোটি টাকার মালিক অথচ ঘুম নাই, রাজ্যজোড়া ক্ষমতা অথচ রিজিক ফুরিয়ে গেছে কিংবা পরিবার বিপথে চলেছে- কী হবে অর্থবিত্ত আর সম্পদ দিয়ে? একজন মানুষ কত খেতে পারে? ভোগ করা যায় কতখানি? হালালের সাথে হারাম মিশ্রণকারীদের জীবন থেকে বারাকাহ হারিয়ে গেছে। যাদের জন্য সবকিছু করলেন সেই আত্মার আত্মীয়রাও ক্ষুদ্র পাপের দায় নেবে না! আপনার কর্মফল আপনাকেই ভোগ করতে হবে। 

 

অন্তত যা খেয়ে শরীর গঠন হয় তার সাথে অবৈধ পথের আয় মেশাবেন না। মানুষের অধিকার হরণ করে ভবিষ্যতের নামে সম্পদ জমাচ্ছেন? সেসব ভোগ করে যেতে পারবেন- কে দিলো এই নিশ্চয়তা? জীবন-যৌবন ফুরিয়ে যাদের জন্য অঢেল বিত্ত রেখে যাচ্ছেন- তারা ওসব কত ভয়ংকর খারাপ পথে ব্যয় করবে না- এমন নিশ্চয়তা আপনার পিতাকে তাঁর সম্পদ ভোগ-বন্টনে দিতে পেরেছেন? এক পয়সা দুর্নীতি করলেও আপনি মানসিকভাবে সততার শক্তি হারিয়েছেন। প্রায় পৌঁছে গেছেন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। পাপের ক্ষেত্রে কারো সাথে তুলনা করে মহাত্মা ন্যায়বিচারক দন্ড দেন না! আপনার পাপের বোঝা শুধু আপনাকেই বহন করতে হবে।

 

শুধু মনে রাখবেন, আল্লাহ কেড়ে নেন, আল্লাহ ফিরিয়ে দেন। আপনি যা আপনার ভেবে জমাচ্ছেন তা আপনার কোন কাজে নাও আসতে পারে। আপনার কোন আশা নাই- এমন কিছু তিনি আপনাকে দিয়ে বিস্মিত করে দিতে পারেন। সততায় বাঁচুন। কারো উপকার করতে না পারেন, একটুও ক্ষতি করবেন না। আপনার প্রত্যেক কর্মের বিনিময় তিনি দুনিয়াতেও দিবেন, আখেরাতের জন্যেও রাখবেন। কারো বৈধ অধিকার হরণ করে কাউকে যদি কষ্ট দেন, আপনার জন্য কারো বুক ভারী হয়, চোখে মেঘ জমে- এমনি এমনি মুক্তি পাবেন- ভাবছেন? যদি এমনই হতো তবে স্রষ্টা ও সৃষ্টির সম্পর্কের কোন দরকার পড়তো না! তখন স্রষ্টা না থাকলেও চলতো!

 

 

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন