আহমেদ আবু আমশা ৪২ বছর বয়সী একজন সংগীত শিক্ষক। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তাকে উত্তর গাজা উপত্যকার বেইত হানুন থেকে পালাতে হয়েছিল। দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি শিবির ও সমুদ্রসৈকতের কাছে তার পরিবারের সঙ্গে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। এখন আবু আমশা ফিলিস্তিনি শিশুদের গিটার বাজিয়ে গান গেয়ে ও শিখিয়ে বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
শিশুদের জন্য গাজা যুদ্ধ ভয়াবহ এক পরিস্থিতি নিয়ে এসেছে। ইতিমধ্যে হাজার হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে ইসরায়েলি হামলায়। অনেক শিশু হারিয়েছে তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, কেউ পুরো পরিবার হারিয়ে নিঃসঙ্গ হয়ে বেঁচে আছে। কেউ হারিয়েছে বাবা-মা।
অনেক শিশু তাদের মূল্যবান জীবন হারিয়েছে খাবারের অভাবে। খাবারের সংকট, পানির সংকট, নানা রোগ-শোক মিলিয়ে শিশুরা বিভীষিকাময় জীবনযাপন করছে। যে শিশুরা বেঁচে আছে তারা জানে না আগামীকাল তারা বেঁচে থাকবে কি না?
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আবু আমশা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তরুণ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের সংগীত শেখাচ্ছেন। শিবিরে আশ্রয় নেওয়া শিশু ও তরুণদের সামান্য বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর যখন যুদ্ধ শুরু হয়, তখন গাজা স্ট্রিপের উত্তরাঞ্চলের একটি স্কুলে আমশা একজন সংগীত শিক্ষক ছিলেন। যুদ্ধ শুরুর পর তাকে দক্ষিণে পালিয়ে আসতে হয়েছিল।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন