গত ২৯ আগস্ট, ৭ মার্চ ফাউন্ডেশন ৪৯তম জাতীয় শোক দিবস পূর্ব লন্ডনের একটি রেস্তোরাঁয় পালন করে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ধ্বংস এবং সারাদেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অপসারণসহ বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ঘটনায় গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা এই "নাশকতা ও প্রতিহিংসার কর্মকাণ্ডের" তীব্র নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
সংগঠনের চেয়ার নুরুদ্দিন আহমেদ বলেন, "বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা সত্যিই খুবই উদ্বেগজনক। আমরা দেশের ভবিষ্যত দিক নিয়ে উদ্বিগ্ন।"
উপস্থিতরা জাতীয় শোক দিবস পালন বাতিলের সিদ্ধান্ত এবং শোক দিবসের আগের রাতে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের বাইরে ‘ঘৃণ্য নাচ-গান’ বন্ধে ব্যর্থতারও সমালোচনা করেন।
বক্তারা বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকারকে সর্বজনীন করার আহ্বান জানিয়ে বলেন যে, তাকে রাজনৈতিক ব্র্যান্ডের পরিবর্তে "পুরো জাতির দূত" হতে হবে। তারা রাজনৈতিক অনুপ্রেরণা বা জাতীয় সীমানা নির্বিশেষে বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার প্রচারের মিশন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটি নেতা, কর্মী এবং ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন যারা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে সকলের অবদানকে ঐক্যবদ্ধ, স্বীকৃতি এবং সম্মান করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
আয়োজকরা বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ধ্বংস ও সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে তার প্রতিকৃতি অপসারণের তীব্র প্রতিবাদ জানান। তারা জাতীয় শোক দিবস পালন পুনরুদ্ধার এবং ঐতিহাসিক ৩২ ধানমন্ডি রোড সংরক্ষণেরও আহ্বান জানান।
নুরুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বৈঠকে বক্তাদের মধ্যে ছিলেন সংগঠনের সেক্রেটারি আনসার আহমেদ উল্লাহ, কানেক্ট কমিউনিটি নেটওয়ার্কের রাজনউদ্দিন জালাল, সর্ব ইউরোপীয়সাবেক কাউন্সিলরের ভাইস চেয়ার সেলিম উল্লাহ, সত্তরের দশকের বর্ণবাদবিরোধী কর্মী আকিকুর রহমান, সমাজকর্মী আলা মিয়া আজাদ চৌধুরী, তাজউদ্দিন ফাউন্ডেশনের সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ শহীদ আলী, যুক্তরাজ্যের একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ এনামুল ইসলাম, সর্ব ইউরোপীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এস এম মুস্তাফিজুর রহমান, ৭ মার্চ ফাউন্ডেশনের জামাল আহমেদ খান প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন