সিলেটের খাদিম এলাকায় উপমহাদেশের অন্যতম ইসলাম প্রচারক হযরত শাহ পরাণ (রহ.) মাজারে আলেম-জনতার সঙ্গে ষড়যন্ত্রকারী, দেশ ও রাষ্ট্র বিরোধী দুর্বৃত্তদের সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ, ক্ষোভ জানিয়ে এবং গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ভয়েস অব কনসাস সিটিজেন (ভিসিসি) চেয়ারপার্সন মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, মাজারে হামলাকারীরা দেশে সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি কেের ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে বাংলাদেশকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র করছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের বিভিন্ন মাজার ও দরবারসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলাকারীদের শাস্তির দাবি করে তিনি বলেছেন, ছাত্রদের মাথায় কাঁঠাল রেখে অনেকে মাজারে হামলা চালাচ্ছে। হামলাকারীদের উদ্দেশ্য সরকারকে বিপদে ফেলে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রমকে বাঁধা গ্রস্থ করা।
গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলনে, ছাত্রদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়ার মতো সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে। বিজয়কে অর্থবহ করতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের নিরাপত্তা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করা সময়ের দাবি। অন্তর্র্বতী সরকারকে এ বিষয়ে দ্রুত যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে কড়া বক্তব্য দেয়া, স্বৈরাচারী সরকারের কঠিন দোষর সালাফিরা সকল সময় সুবিধাভোগী। আর এই সুবিধাভোগি গংরা আবারো ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সুফল ভোগ করার মিশনে নেমেছেন মনে হচ্ছে। সমাজে ফেতনা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বিভক্তির মাধ্যমে এরা সকল সময়ই সুবিধা ভোগী।
তিনি বলেন, শাসক যে-ই হোক তার আনুগত্য করা ফরজ, শাসকগোষ্ঠীর সমালোচনা করা, আন্দোলন করা, হরতাল অবরোধ করাকে হারাম বলে ফতোয়া দেয়া এই সুবিধা ভোগী গোষ্টি থেকে সকলকে সাবধান থাকতে হবে। সালাফিদের কার্যকলাপই প্রমান করে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্টরাই তাদের পছন্দের শাসক। মাজার ভাঙ্গা, মাজারে হামলার মাধ্যমে তারা ফ্যাসিবাদী শক্তিকে আমন্ত্রন জানাচ্ছে। তাই সালাফিদের ইন্ধন বা উস্কানির বিষয়টি মাথায় রাখা জরুরি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। এদেশে সকলের ধর্ম পালনের অধিকার রয়েছে। একটি স্বার্থান্বেষী মহল বাংলাদেশের শান্তি ও শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার জন্য সারাদেশের বিভিন্ন মাজার ও দরবারে ভাংচুর, লুটতরাজ ও হামলা চালাচ্ছে। সচেতন জনতা কখনোই স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক সাধারণ মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার এই অপচেষ্টা মেনে নেবে না।
তিনি এই সংকট বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় সুফিবাদী জনগোষ্ঠীর। সকল তরিকতপন্থী মানুষের। তাই ঐক্যবদ্ধভাবে এসব জুলুম-অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার এখনি সঠিক সময়। তাই সকল তরিকতপন্থী ও সুফিবাদীদের মতানৈক্য ভুলে একত্রিত হয়ে এমন কর্মকান্ড প্রতিহতের আহ্বান জানান। একই সাথে তিনি অবিলম্বে দেশের মাজার, দরবার ও খানকাহ শরীফ ভাঙা ও হামলার সাথে জড়িত সকল ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে তাদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবী জানান।
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, আজ মাজার ভাঙছে, কাল মন্দির ভাঙবে। এই ভাঙ্গা ভাঙির সংস্কৃতি দ্রæত এদেশে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। স্বাধীন রাষ্ট্রে আমরা এগুলো চাই না।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন