দীর্ঘদিন পর মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএনপির বিশাল শোডাউন দেখেছে সিলেটবাসী। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন সময় নানা বাঁধা-বিপত্তিতে দলীয় কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সময় ও স্থান নির্ধারণে আপত্তি জানাতো। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এই প্রথম বিশাল শেডাউন করেছে দলটি। এতে সিলেট বিভাগের চার জেলা থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী-সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় শোভাযাত্রায় হাজার হাজার নেতাকর্মীর ঢল নামে। শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান। বিকেল চারটার দিকে মহানগরীর সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠ থেকে শোভাযাত্রার শুরু হয়ে রেজিস্ট্রি মাঠে গিয়ে শেষ হয়।

 

এরআগে শোভাযাত্রায় অংশ নিতে সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আলিয়া মাঠে সমাবেশ স্থলে আসতে থাকে নেতাকর্মীরা। সিলেট বিভাগের চার জেলা ও উপজেলা থেকে বাস-ট্রাক, পিকআপে করে আসতে দেখা যায় নেতাকর্মীদের। এসময় তাদের হাতে ছিল জাতীয় ও দলীয় পতাকা। এছাড়াও বিএনপির নিখোঁজ নেতা এম ইলিয়াস আলী ও ছাত্রদল নেতা ইফতেখার আহমদ দিনারসহ সরকার পতনের আন্দোলনে নিহতের ছবি সম্বলিত ফ্যাস্টুন। এদিন স্লোগানে-স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো মহানগরী।

 

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য ও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তাহসীনা রুশদীর লুনা, সাবেক সিসিক মেয়র ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সহ-ক্ষুদ্র ঋণ ও কুঠির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, মিজানুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।

 

 

গত বছরের ৯ জুলাই সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশে বিপুলসংখ্যাক নেতাকর্মী অংশ নেন। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।