মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি, আরো সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে ‘স্বল্পসংখ্যক’ অতিরিক্ত সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর পেন্টাগন সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে। তবে এ বিষয়ে তারা আর কোনো বিস্তারিত তথ্য দেয়নি।

এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এলো, যখন আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে, ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে প্রায় এক বছরের সহিংসতার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ আন্ত সীমান্ত পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটছে।

ইসরায়েল লেবাননে শত শত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।

 

পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার এদিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ও অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য আমরা ওই অঞ্চলে ইতিমধ্যে অবস্থান করা আমাদের বাহিনীকে শক্তিশালী করতে স্বল্পসংখ্যক অতিরিক্ত মার্কিন সামরিক সদস্য পাঠাচ্ছি।’ তবে নিরাপত্তার কারণে তিনি আর কোনো তথ্য প্রদান করতে অস্বীকৃতি জানান।

 

 

মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের হাজার হাজার সেনা রয়েছে।

পাশাপাশি যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও মোতায়েন করা হয়েছে। যাতে তারা নিজস্ব বাহিনী ও ইসরায়েলকে সুরক্ষিত রাখতে পারে।

 

মুখপাত্র সতর্ক করে বলেন, ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর সহিংসতা বাড়তে পারে এবং এটি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে একটি বিস্তৃত আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপান্তরিত হতে পারে। এ জন্য কূটনৈতিক সমাধানের মাধ্যমে পরিস্থিতি সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।

 

এদিকে বিশ্বশক্তিগুলো ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহকে পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। কারণ সহিংসতার কেন্দ্র সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইসরায়েলের দক্ষিণ সীমান্ত থেকে লেবাননের সঙ্গে উত্তরের সীমান্তের দিকে সরে গেছে।

লেবাননের শক্তিশালী রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি হিজবুল্লাহ গাজা যুদ্ধে তাদের মিত্র হামাসকে সমর্থনে ইসরায়েলের সঙ্গে প্রায় প্রতিদিন সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালায়। তার পর থেকেই গাজায় যুদ্ধ চালাচ্ছে ইসরায়েল।

পাশাপাশি হিজবুল্লাহসহ ইরান সমর্থিত অন্য আঞ্চলিক গোষ্ঠীগুলো সেই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।

 

এদিকে লেবাননে সোমবার ইসরায়েল ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। এতে ইতিমধ্যে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭০ ছাড়িয়েছে, যার মধ্যে ২১টি শিশুও রয়েছে। একই সঙ্গে আহত হয়েছে প্রায় এক হাজার মানুষ। এ ছাড়া হাজার হাজার পরিবার এ বোমাবর্ষণ থেকে বাঁচতে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

নতুন এ হামলার পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে শিশুসহ অন্তত ২৭৪ জন নিহত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র লেবাননের পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছে।

বাইডেন হোয়াইট হাউসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠককালে বলেন, ‘ইসরায়েল ও লেবাননের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাকে অবহিত করা হয়েছে। আমার দল তাদের সমকক্ষদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগে রয়েছে এবং আমরা এমন একটি উপায়ে উত্তেজনা কমানোর জন্য কাজ করছি, যাতে মানুষ নিরাপদে ঘরে ফিরে যেতে পারে।’

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন