ভারতের বেঙ্গালুরুর ভ্যালিকাভাল এলাকায় একটি রেফ্রিজারেটরে এক নারীর খণ্ডিত দেহ পাওয়া গেছে। গত শনিবার পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে বলে ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খণ্ডিত অংশের ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
নিহত ওই নারীর নাম মহালক্ষ্মী।
তাকে হত্যা করে একাধিক টুকরা করা হয়েছিল এবং খণ্ডিত অংশগুলো একটি এক বেডরুমের অ্যাপার্টমেন্টের ফ্রিজের ভেতর ভরে রাখা হয়েছিল। অ্যাপার্টমেন্টে তিনি একাই থাকতেন বলে জানা গেছে।
যেদিন তাল খণ্ডিত লাশ পাওয়া যায় তার ঠিক আনুমানিক ২ থেকে ৩ দিন আগে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাটি সিল করে দেয়।
তদন্তে সহায়তা করার জন্য একটি ফরেনসিক দল এবং একটি ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হয়েছিল।
মহালক্ষ্মীর মা ইন্ডিয়া টুডে টিভিকে বলেছেন, তিনি ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন যখন তার মেয়ের বাড়িওয়ালা তাকে ফোন করে। বাড়িওয়ালা জানান, ‘মহালক্ষ্মীর অ্যাপার্টমেন্ট থেকে দুর্গন্ধ আসছে। আমার মেয়ের দেহ কেটে ফ্রিজে ভরে রাখা হয়েছিল।
’
কর্তৃপক্ষ আলামত সংগ্রহ করছে এবং আরো সূত্রের জন্য তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম অঞ্চল) সতীশ কুমার বলেছেন, ‘পুলিশ একটি বাড়িতে ২৬ বছর বয়সী একটি মেয়ের লাশ পেয়েছে। লাশটি টুকরা টুকরা করে একটি ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক দিন আগে ঘটানো হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা মেয়েটিকে শনাক্ত করতে পেরেছি, তবে তদন্ত চলছে।
’
তবে হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্তর নাম প্রকাশ না করে বেঙ্গালুরু পুলিশ জানিয়েছে, মহালক্ষ্মী নামের ওই তরুণী তার প্রেমিকের হাতেই খুন হয়েছেন। সন্দেহভাজন অভিযুক্তের ভাইয়ের তথ্য অনুযায়ী এমনটা জানা গেছে। তারা একটি শপিং মলে কাজ করতেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
২০২৩ সালে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর মল্লেশ্বরমে থাকতেন ২৯ বছর বয়সী মহালক্ষ্মী। মেয়েকে নিয়ে অন্যত্র থাকতেন তার স্বামী। সেই সময় থেকে ওই সহকর্মীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক শুরু। মহালক্ষ্মী অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন এই সন্দেহে দুজনের মধ্যে সমস্যা শুরু হয়। এই সন্দেহ থেকেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটতে পারে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
অপরাধের নৃশংস প্রকৃতি ১৮ মে সালে দিল্লিতে ঘটা একটি ঘটনার সঙ্গে মিলে যায়। যেখানে ভারতের দিল্লিতে প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে মৃতদেহ ৩৫ টুকরা করে ফেলেন তারই প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। সেই টুকরাগুলো সংরক্ষণ করতে নতুন ফ্রিজও কিনে আনেন। এরপর ১৮ দিন ধরে দিল্লির জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় শ্রদ্ধার দেহের টুকরাগুলো ফেলতেন আফতাব।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন