হাকিকুল ইসলাম খোকন,,
৭৯তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে “ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ“ শীর্ষক একটি সম্মেলন ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪,বুধবার,বিকাল সাডে ৬টায় নিউইর্য়কের ৬৩-১০৮,উডহ্যাভেন রুলভাডের জয়া হলে অনুষ্ঠিত হয।খবর বাপসনিউজ।
সেন্টার ফর এনআরবি ‘র উদ্যোগে আয়োজিত এই সম্মেলনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন প্যধান অতিথি হিসেবে বলেন, বাংলাদেশ তার রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বজায় রেখে সব দেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করে যাবে ।
বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে প্রবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছেন ও তাদের প্রেরিত অর্থ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বলিষ্ঠ অবদান রেখে চলেছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দেশ আজ নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এবং আমরা আমাদের বৈদেশিক নীতির কতিপয় ক্ষেত্রে দেশের স্বার্থ সমুন্নত রাখতে কারো কোনো পরামর্শে বিচ্যুত হবো না। আমরা আমাদের নিজস্বতা ও মর্যাদা বজায় রেখে প্রতিবেশী সহ সকল দেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে এগিয়ে যাব। আমাদের ছাত্র জনতার আকাঙ্ক্ষা পূরণে ও আমাদের দেশের স্বার্থ রক্ষায় আমরা বদ্ধপরিকর।
এনআরবি সেন্টারের চেয়ারপার্সন এম এম এস সেকিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন নিউইয়রকের বাংলাদেশ কনসুলেটের কনসাল দেনারেল ড.নাজমুল হুদা ও জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের পিআর সাহানারা মনিকা ।নির্ধারিত আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ স্কলার ও চিন্তাবিদ ইন্দনেশিয়ার ডক্টর শামসী আলী, জাতিসংঘের পরিবেশ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ইনা ইসলাম, লন্ডন ব্রান্ট কাউন্সিলের প্রাক্তন মেয়র পারভেজ আহমদ ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতা সবুর খান।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এনআরবি সেন্টার আমেরিকার সাপোর্ট গ্রুপের প্রতিনিধি ব্যবসায়ী সানওয়ার চৌধুরী, লেখক সাংবাদিক শামসাদ হুসাম, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার সাবেক সভাপতি ও সমাজসেবী বদরুন নাহার খান মিতা ও কবির চৌধুরী, মহিলা উদ্যোক্তা তহুরা চৌধুরী, এডভোকেট নাসির উদ্দীন, কমিউনিটি নেতা রোকন হাকিম, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর বদরুল আলম, ব্যবসায়ী নেতা লিটন আহমদ, ব্যাংকার ওয়াসেফ চৌধুরী, সমাজসেবী আব্দুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মোজাফ্ফর আহমদ, সৈয়দ বোরহান,ডাঃলুৎফুল আলম,তরুণ উদ্যোক্তা শেখ ফরহাদ প্রমুখ। আলহ্বাজ আব্দুর রহিমের কোরান তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
বক্তারা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে প্রবাসী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পাশাপাশি দল নিরপেক্ষ মেধাবী ব্যক্তিদেরও কাজে লাগাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এবং পরবর্তী রাজনৈতিক সরকারের জন্য ইতিবাচক কার্যক্রম এবং সৎ ও নীতিবান কর্মকর্তাদের প্রশাসনের কাজে নিয়োজিত করার পথ তৈরীর আহবান জানান। তারা বলেন, প্রবাসীরা দিতে চান, রাষ্ট্রের কাজ হবে এটি গ্রহনের ব্যবস্থা নেওয়া । প্রবাসীরা বলেন, দেশে দুর্নীতি ও লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে, লুটের টাকা বিদেশে পাচার করে বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণকারী দূর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে, লুটকারীদের রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করতে হবে, রাজনীতির নামে দেশের ও প্রবাসীদের হয়রানী ও সম্পদ হরণ বন্ধ করতে হবে, আদর্শ রাজনীতিবিদদের অগ্রাধিকার দিয়ে দেশ পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে ।
সভাপতির বক্তব্যে এম এস সেকিল চৌধুরী বলেন, প্রবাসীরা বিদেশে দেশের ব্র্যান্ডিং করছেন, রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখছেন সুতরাং রাষ্ট্রেকে প্রবাসীদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করতে হবে, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, এনআইডি কার্ড, পাসপোর্ট নবায়নসহ অত্যাবশ্যকীয় কনসুলার সেবাগুলো সহজলভ্য করতে হবে । সেকিল চৌধুরী বলেন, আমাদের শান্তিরক্ষীরা দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে চলেছেন, তাদের ত্যাগ বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে এ কাজকে আরও এগিয়ে নিতে যেতে হবে।
তিনি বলেন, বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোকে দলবাজির বাইরে রাখতে হবে, কূটনৈতিকদের দলীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে দূরে রাখতে হবে, মিশনগুলোতে দলমত নির্বিশেষে সকল প্রবাসীকে সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে, মিশন কর্মকর্তাদের অযথা কাজে যোগদান থেকে বিরত রাখতে হবে।
বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা ও প্রকাশনার কাজ থেকে মিশন কর্মকর্তাদের বিরত থেকে প্রবাসী ও দেশের কাজে সময় ব্যয় করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদানের জন্য সেকিল চৌধুরী সরকারের কাছে আহ্বান জানান। শেষে সবাইকে রকমারী ও মজাদার আয়োজনে সবাইকে নৈশ ভোজে আপ্যায়ন করা হয় ।
দেশে ফিরছেন শেখ হাসিনা? যে নতুন তথ্য জানালো জয়
হাকিকুল ইসলাম খোকন,বাপসনিঊজঃ
ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে গত মাসে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে কথা বলেছেন তার তনয় সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয় বলেছেন, দেশে ফেরার বিষয়টা শেখ হাসিনার ওপর নির্ভর করবে। তার মা দেশে ফিরে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত বলেও গত মাসে জানিয়েছিলেন জয়।
এদিকে, ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের দেওয়া টাইমলাইনের বিষয়ে নিজের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তবে এই টাইমলাইন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক দেরী বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। একই সঙ্গে জয় বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশে প্রকৃত সংস্কার ও নির্বাচন অসম্ভব।
কোটা সংস্কার ঘিরে শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভের সময় সেনাপ্রধান শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াতে অস্বীকৃতি জানান। আর এর মধ্য দিয়েই সেই সময় শেখ হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায়, প্রায় ঘণ্টা খানেকের প্রস্তুতিতে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন সাব্কে এই প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান দেশে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে গণতন্ত্র ফিরে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন। এরপর মঙ্গলবার রাতের দিকে রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘‘আমাদের কাছে অন্তত এখন একটি প্রত্যাশিত টাইমলাইন আছে শুনে আমি খুশি।’’
তিনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশে সংঘটিত অভ্যুত্থানের ইতিহাসের কথাও উল্লেখ করেছেন। সর্বশেষ ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি সেনাবাহিনীর সমর্থনের কথাও তুলে ধরেন জয়। দুই বছর পর ২০০৯ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন শেখ হাসিনা। পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে তিনি ১৫ বছর ধরে দেশ শাসন করেন।
শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ বাহিনীর মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এরপর থেকে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বাংলাদেশের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, তিনি প্রতি সপ্তাহে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে দেখা করেন। দেশে স্থিতিশীলতা আনার লক্ষ্যে সরকারের নেওয়া প্রচেষ্টায় সামরিক বাহিনীর সমর্থন রয়েছে। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, সেনাবাহিনী এই সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলেও জানান তিনি।
আগস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই আগামী তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের আগে বিচার বিভাগ, পুলিশ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে এই সংস্কার কাজ শেষ করতে কতদিন লাগতে পারে, সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।
বুধবার প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গঠিত ছয়টি সংস্কার প্যানেলের সুপারিশ পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে অন্তর্বর্তী সরকার।
‘‘সংস্কারের বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করা হলে এবং ভোটার তালিকা প্রস্তুত হলে ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হবে,’’ বিবৃতিতে বলা হয়েছে। বিএনপি বলেছে, তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন চায়। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বসবাসরত সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘‘দেশের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে বৈধ সংস্কার এবং নির্বাচন করা অসম্ভব।’’
গত মাসে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে দিল্লির কাছের একটি সেফ হাউসে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এক হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। সেই সময় আন্দোলনকারীদের ওপর সহিংসতায় জড়িত অভিযোগে আওয়ামী লীগের আরও অনেক জ্যেষ্ঠ নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন অথবা আত্মগোপনে চলে গেছেন।
শেখ হাসিনা কবে দেশে ফিরতে পারেন, মঙ্গলবার জয়ের কাছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, দেশে ফেরার বিষয়টা তার (শেখ হাসিনা) ওপর নির্ভর করবে। এই মুহূর্তে আমি আমার দলের লোকজনকে নিরাপদ রাখতে চাই। তাই আমি দলের লোকজনের ওপর চালানো নির্যাতনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সচেতনতা বাড়াতে চাই।
সূত্র রয়টার্স।
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস - বিরুদ্ধে ঘুষসহ পাঁচ দুর্নীতির অভিযোগ হাকিকুল ইসলাম খোকন,বাপসনিউজঃফেজারেল দুর্নীতির তদন্তের পর বুধবার নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামসকে অভিযুক্ত করা হয়। নিউইয়র্ক টাইমস রিপোর্ট করেছে. অভিযুক্ত এবং সম্ভাব্য অভিযোগের বিস্তারিত আজ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে।নিউইয়র্ক মেয়রের বিরুদ্ধে ঘুষসহ পাঁচ দুর্নীতির অভিযোগ ।আমেরিকার প্রসিকিউটরদের অভিযোগ, এরিক অ্যাডামস মেয়র হিসেবে তাঁর মেয়াদের আগে এবং মেয়াদকালে একাধিক বিদেশি উৎস থেকে বিলাসী আন্তর্জাতিক ভ্রমণের মতো সুবিধা চেয়েছিলেন এবং গ্রহণ করেছিলেন। যেসব ধনী ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তিনি এসব সুবিধা গ্রহণ করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে তুরস্কের একজন সরকারি কর্মকর্তাও আছেন।
বলা হচ্ছে, তুর্কি কর্মকর্তার কাছ থেকে বিনা মূল্যে এবং প্রচুর ছাড়ে তুর্কি এয়ারলাইনসে করে তুরস্ক, ভারত ও ঘানায় বিলাসবহুল ভ্রমণ করেছিলেন অ্যাডামস। মূলত ওই কর্মকর্তা নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে অবস্থিত তুর্কি কনস্যুলেটের প্রবিধান সম্পর্কিত একটি বিষয়ে অ্যাডামসের সাহায্য চাইতে গিয়েছিলেন।
পাঁচটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের মধ্যে এটাও উল্লেখ আছে যে মিথ্যা শংসাপত্রের মাধ্যমে এরিক অ্যাডামসের প্রচারাভিযান ১০ হাজার ডলারের বেশি তহবিল পেয়েছে।
তদন্ত করতে গিয়ে এফবিআই এজেন্টরা মেয়র অ্যাডামসের সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করেছিলেন। পরে অভিযোগ প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা আগে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোরে অ্যাডামসের ফোন জব্দ করেন তাঁরা। এর আগে বুধবার রাতে এরিক এক ভিডিও বার্তায় বলেন, আমি সবসময় এটা জানতাম আমি যদি নিউইয়র্কবাসীর পক্ষে দাঁড়াই তাহলে আমি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবো, এবং শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, যদি আমাকে অভিযুক্ত করা হয়, আমি বললো আমি নির্দোষ। আমি আমার আত্মা এবং সব শক্তি দিয়ে এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবো। এদিকে মেয়র অ্যাডামসকে অভিযুক্ত হিসেবে ঘোষণা করার আগে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার তার বাড়িতে অভিযান চালায় ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) সদস্যরা। অভিযানের সময় তার মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
এরিক অ্যাডাম আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট পার্টির একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এর ফলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন রিপাবলিকান শিবিরের তোপের মুখে পড়তে পারে ডেমোক্র্যাটরা। তবে আসন্ন ভোটে এই ঘটনার প্রভাব খুব একটা পড়বে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন