জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
সিলেটের কুমারগাঁও উপকেন্দ্রে মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সোয়া ১১টায় ঘটা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান, বিশ্লেষণ এবং দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার জন্য উচ্চপর্যায়ে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মু. মোহাসিন চৌধুরীকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
জানা গেছে, গ্রিডে আগুন লেগে বারবার বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ছে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা। বিদ্যুতের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন এসব এলাকার গ্রাহকরা। চলতি বছরে সিলেটসহ চার জায়গায় গ্রিডে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা খতিয়ে দেখতে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা রক্ষার উপায় নির্ধারণে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সিলেটের ঘটনা তদন্তেও কমিটি হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সিলেটের ঘটনার পরপরই পিডিবি একটি এবং পিজিসিবি আরেকটি কমিটি গঠনে করে। তিন দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, একের পর এক গ্রিডে আগুনের ঘটনায় নতুন করে কমিটি করেছে তারা। বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মু. মোহাসিন চৌধুরীকে প্রধান করে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মেদ হোসাইনসহ বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল ছাড়াও পিডিবি, পিজিসিবি, আরইবি, এনএলডিসি, নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং পাওয়ার সেলের প্রতিনিধি রাখা হয়েছে।
বুধবারের (১৮ নভেম্বর) এক অফিস আদেশে বলা হয়, বিদ্যুৎ ব্যবস্থার স্থিতিশীলতার বিষয়ে কমিটি একটি সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করবে। কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা, তা দেখার জন্য প্রতি মাসে একবার বৈঠক করবে। প্রতি তিন মাস অন্তর ন্যাশনাল লোড ডেসপাস সেন্টার (এনএলডিসি) কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়ে কমিটির কাছে অগ্রগতি প্রতিবেদন দেবে।
এদিকে একই সময়ে সিলেটের ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) রহমত উল্লাহ মো. দস্তগীরকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। উপ-সচিব আইরিন পারভিনের সই করা এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শক আবুল খায়ের মো. আক্কাস আলী, পিডিবির সদস্য (পিএন্ডডি) মুস্তাক মুহাম্মদ, পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালক (ওএন্ডএম) মাসুম আলম বকসি, পাওয়ার সেলের পরিচালক (সাসটেইনেবল এনার্জি) আব্দুর রউফ মিয়া।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেইন বলেন, ‘আগামী সাত দিনের মধ্যে কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে। কমিটির কাজ হচ্ছে- অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান, বিশ্লেষণ এবং দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না হয়, সেজন্য সুপারিশ করবে। এছাড়া তদন্তের প্রয়োজনে কমিটিতে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।’
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন