চরম অনিশ্চয়তার মুখে কিয়েভ, আজ ট্রাম্প-জেলেনস্কির বৈঠক

gbn

বিদায়ি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বৃহস্পতিবার কিয়েভের জন্য আরো সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ট্রাম্প যেকোনো মূল্যে ইউক্রেনকে মস্কোর সঙ্গে বোঝাপড়ায় বাধ্য করতে চান।

বিদায়ি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে শেষবার হোয়াইট হাউসে দেখা করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। এদিন প্রায় শেষবারের মতো ইউক্রেনের জন্য বাড়তি ২৪০ কোটি ডলার অঙ্কের সামরিক সহায়তা মঞ্জুর করলেন বাইডেন।

জানুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আরো ৫৫০ কোটি ডলার অঙ্কের সহায়তার আশ্বাসও দিলেন তিনি। এরপর কে নতুন মার্কিন প্রশাসনের হাল ধরবেন, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও বাইডেন বলেন, ‘এখন আমরা ইউক্রেনের সঙ্গে আছি, ভবিষ্যতেও থাকব।’

 


 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে জেলেনস্কি চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন। ডেমোক্রেটিক দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস নির্বাচনে জিতলে ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সহায়তা অব্যাহত থাকবে—এমন আশ্বাস পেয়েছেন তিনি।

কিন্তু রিপাবলিকান দলের পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করলে সেই সংহতি প্রবল ধাক্কা খাবে—সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

 

ট্রাম্প প্রয়োজনে ইউক্রেনের ভূখণ্ডের কিছু অংশে রাশিয়ার কর্তৃত্ব মেনে নিয়ে আপসের পথে এগোনোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। অন্যদিকে হ্যারিস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নীতির প্রতি সমর্থনের অভিযোগ এনেছেন। তার মতে, এমন প্রস্তাব বিপজ্জনক ও একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।

 


 

ট্রাম্প এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি শুক্রবার জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। এর আগে বুধবার নর্থ ক্যারোলাইনা রাজ্যে এক নির্বাচনী প্রচারের সভায় তিনি জেলেনস্কির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন এক নেতাকে কোটি কোটি ডলার দিয়ে চলেছে, যিনি কোনো বোঝাপড়া করতে প্রস্তুত নন। তার মতে, বর্তমান পরিস্থিতির তুলনায় যেকোনো মূল্যে শান্তিচুক্তি করা অনেক ভালো। যুক্তরাষ্ট্রে সফরের শুরুতেই জেলেনস্কি যেভাবে বাইডেনের শহরে এক অস্ত্র কারখানা পরিদর্শন করেন, নির্বাচনের আগে এমন আচরণেরও সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প।

এদিকে ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমাবিশ্বের সহায়তা যতটা সম্ভব ‘ট্রাম্প-প্রুফ’ করতে বাইডেন প্রশাসন আগামী মাসে জার্মানিতে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পরিকল্পনা করছে।

৫০টিরও বেশি দেশের সহায়তার মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে ন্যাটোর নেতৃত্বে রাশিয়ার হামলা মোকাবেলায় ভবিষ্যতেও ইউক্রেনকে সাহায্য করার পথ খোলা রাখার চেষ্টা করছেন বাইডেন। তবে তিনি জেলেনস্কির অনুরোধ মেনে রাশিয়ার গভীরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ছাড়পত্র দেবেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে ইউক্রেনের পূর্বে রাশিয়ার বেড়ে চলা সাফল্যের মুখে জেলেনস্কি যুদ্ধের গতি বদলাতে এমন পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন