মেক্সিকান সেনারা একটি পিক-আপ ট্রাকে ভ্রমণকারী ৩৩ জন অভিবাসীর একটি দলকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে ছয় অভিবাসীর মৃত্যু হয়। ট্রাকটি সামরিক টহল এড়াতে চেষ্টা করেছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ঘটনায় আরো ১০ জন অভিবাসী আহত হয়েছেন বলে মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
দলটিতে মিশরীয়, নেপালি, কিউবান, ভারতীয় এবং পাকিস্তানি নাগরিক ছিল, যদিও বিবৃতিতে নিহতদের জাতীয়তা নির্দিষ্ট করা হয়নি।
স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, মেক্সিকোর দক্ষিণ সীমান্তে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে মার্কিন চাপের মুখোমুখি হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৯টার আগে। তখন সেনাবাহিনী এলাকাটিজুড়ে টহল দিচ্ছিল। অভিবাসীদের পিক-আপ ট্রাকটিকে আরো দুটি গাড়ি অনুসরণ করছিল, যেগুলো সাধারণত এলাকাটির অপরাধীরা ব্যবহার করে থাকে।
বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর দুই সেনা অফিসার গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই চার অভিবাসী নিহত হন এবং অন্য দুজন পরে হাসপাতালে মারা যান।
মেক্সিকোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অভিবাসীদের ওপর গুলি চালানো ওই দুই সেনাকে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ফেডারেল প্রসিকিউটরদের জানানো হয়েছে। একটি সামরিক ট্রাইব্যুনালও নিজস্ব তদন্ত চালাবে।
তারা শূন্য-দায়মুক্তির নীতির অধীনে আইনের শাসনের সঙ্গে কঠোরভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। এ ছাড়া তারা বেসামরিক কর্তৃপক্ষকে তথ্যের ওপর আলোকপাত করতে সহায়তা করতে প্রস্তুত।
দ্য কালেকটিভ ফর দ্য মনিটরিং অফ সাউদার্ন বর্ডার অ্যাডভোকেসি এবং সিভিল সোসাইটি সংস্থাগুলির একটি গ্রুপ একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই ঘটনাগুলো দুর্ঘটনাজনিত বা বিচ্ছিন্ন নয়, এগুলো মেক্সিকান রাষ্ট্র যে বিধিনিষেধমূলক অভিবাসন নীতিগুলো প্রয়োগ করে চলেছে তার ফল।’
মেক্সিকো তাদের সীমান্তে আগত অভিবাসীদের সংখ্যা কমানোর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মধ্যে রয়েছে, যেখানে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ অর্থনৈতিক কষ্ট এবং সহিংসতা থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। বর্তমানে অবৈধ সীমান্ত ক্রসিং কমে গেছে।
বাইডেন প্রশাসন ৫ নভেম্বরের নির্বাচনের দৌড়ে সীমান্ত সুরক্ষার বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি কঠোর করেছে।
সূত্র : রয়টার্স
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন