অজু শুরু করতে হয় ডান দিক থেকে
উম্মে আতিয়্যাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) তাঁর মেয়ে [জয়নব (রা.)]-কে গোসল করানোর সময় তাঁদের বলেছিলেন, তোমরা তার ডান দিক থেকে এবং অজুর অঙ্গ হতে শুরু করো। (বুখারি, হাদিস : ১৬৭)। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) জুতা পরা, চুল আচড়ানো এবং পবিত্রতা অর্জন করা, তথা প্রত্যেক কাজই ডান দিক থেকে শুরু করতে পছন্দ করতেন। (বুখারি, হাদিস : ১৬৮)
সেবার বিনিময় জান্নাত
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, (আগের যুগে) জনৈক ব্যক্তি একটি কুকুরকে তৃষ্ণার্ত অবস্থায় ভিজা মাটি চাটতে দেখতে পেয়ে তার মোজা নিল এবং কুকুরটির জন্য কূপ থেকে পানি এনে দিতে লাগল যতক্ষণ না সে ওর তৃষ্ণা মেটায়। আল্লাহ এর বিনিময় দেন এবং তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান। (বুখারি, হাদিস : ১৭৩)
নামাজের অপেক্ষায় নামাজের সওয়াব
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, বান্দা যে সময়টা মসজিদে নামাজের অপেক্ষায় থাকে, তার সে পুরো সময়টাই নামাজের মধ্যে গণ্য হয় যতক্ষণ না সে হাদাস করে। জনৈক অনারব বলল, হে আবু হুরায়রা! ‘হাদাস কী?’ তিনি বলেন, ‘শব্দ করে বায়ু বের হওয়া।’ (বুখারি, হাদিস : ১৭৬)
নিশ্চিত অজু না ভাঙলে নামাজ ছাড়বে না
আব্বাস ইবনে তামিম (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি তাঁর চাচার সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, (কোনো মুসল্লি) নামাজ থেকে সরে থাকবে না যতক্ষণ না সে শব্দ শুনতে পায় কিংবা গন্ধ পায়।
(বুখারি, হাদিস : ১৭৭)
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন