মৌলভীবাজার প্রতিনিধি \ বিএনপির কেন্দ্রিয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র প্রধান উপদেষ্টা রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রতিবেশী দেশ সীমান্তে নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। ফেলানীর কথা এখনো মানুষ ভুলেনি। কিন্তু সরকার কোনো প্রতিবাদ করেনি। বিবৃতি দেয়নি। হাসিনার মাথা ভারতের দিকে সিজদা করে, নতজানু করে রাখতো। সাবভৌমত্তের পক্ষে মাথা তুলতো না। এখনতো হাসিনা নেই, জনগণের সরকার ক্ষমতায়। সীমান্তে স্বর্ণা দাসদের নির্মম ভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। অন্তর্ভর্তি সরকার কোনো প্রতিবাদ করেনি কেন সেটা জনগণের প্রশ্ন।’ তিনি গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার বাসিন্দা ভারতীয় বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত কিশোরী স্বর্ণা দাসের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করতে এসে খাগটেকা বাজারে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ধর্মের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে হিন্দু কেহ আহত বা নিহত হলে সাথে সাথে আওয়ামী লীগ ও প্রতিবেশী দেশ হিন্দুর উপর আক্রমণ বলে প্রচার করে। কিন্তু ভারত সীমান্তে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃস্টান বিবেচনা করে না। তারা সীমান্তে যে কাউকে হত্যা করে। তাদের টার্গেট বাংলাদেশী মানুষ। ওরা ফেলানীকে যেভাবে ঝুলিয়েছে, সেভাবে স্বর্ণাকেও মেরেছে। আরো একজন হিন্দুকে মেরেছে। সীমান্তকে শান্তিপূর্ন সীমান্ত তৈরির আহবান জানালেও ভারত শুনেনি। হাসিনার পতনের পর ভারত আরো আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। সীমান্ত রক্তাক্ত করছে, সহিংস হচ্ছে।’‘৫ আগস্টের বিপ্লবের পর ড. ইউনুছের সরকার দায়িত্ব নিয়েছেন। তাদের উপরে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। কিন্তু সীমান্তে হত্যার বিষয়ে আপনারা নির্লিপ্ত কেন? উদাসিন কেন? কিশোরীকে হত্যার বিষয়ে কোনো কথা নেই কেন? এ প্রশ্ন দেশের মানুষের মুখে মুখে।’ দ্রæত সংস্কার কাজ শেষ করে নির্বাচন দেয়ার দাবী জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘লুটপাটের সরকারের দোসরদের বিভিন্ন ভাবে প্রতিষ্টিত করছেন। ওরা আপনাদের সফল হতে দেবে না। ওরা নানা চক্রান্ত করে যাচ্ছে। সরকার ব্যর্থ হলে শহীদদের আত্মা কষ্ট পাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে বার বার দেশ থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু পারেনি। মিথ্যা মামলা দিয়ে বছরের পর বছর জেলে রাখা হয়েছে। কিন্তু তিনি মাথা নত করেননি। সভা শেষে তিনি বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত কিশোরী স্বর্ণা দাসের পরিবারকে সান্তনা দেন।’ ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ কর্তৃক আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির উপদেষ্টা শরিফুল হক সাজু। বিশেষ অতিথি ছিলেন- সংগঠনের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আলমগীর কবির, আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমন। বক্তব্য রাখেন- মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন মিঠু। সভায় সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের বিএনপি দলীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
দেশের সীমান্তে স্বর্ণা দাস হত্যার প্রতিবাদ নেই কেন : মৌলভীবাজারের জুড়ীতে -রুহুল কবির রিজভী

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন