বাংলাদেশে প্রস্তুত খাদ্য এবং কোল্ড চেইন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বন্টন ফুডস লিমিটেডকে (বন্টন ফুডস) সম্ভাব্যতা সমীক্ষার জন্য অনুদানের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (ইউএসটিডিএ)।
এ অনুদান বাংলাদেশে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত হিমাগারের সরবরাহ ব্যবস্থার নেটওয়ার্ক স্থাপনে সহায়তা করবে। সমীক্ষার লক্ষ্য হলো- দুগ্ধজাত পণ্য, মাংস এবং অন্যান্য খাদ্যপণ্যের খরচ এবং ক্ষতি কমানো, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বাড়াবে। বন্টন ফুডস মিনেসোটাভিত্তিক ল্যান্ড ও’লেকস ভেঞ্চার৩৭-কে এ সমীক্ষা পরিচালনার জন্য নির্বাচন করেছে।
ইউএসটিডিএ’র পরিচালক এনোহ টি এবোং বলেন, ‘বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষ্যে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ সহজ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বন্টন ফুডসের সঙ্গে আমাদের এ অংশীদারত্ব মূলধন সংগ্রহে সহায়তা করবে এবং বাংলাদেশের মানুষের প্রয়োজন মেটাতে উদ্ভাবনী সমাধান প্রয়োগ করবে। তাজা খাদ্যের প্রাপ্যতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে, আমরা তা দেখাতে পারবো বলে আশাবাদী।’
বাংলাদেশের ৩০০টিরও বেশি স্থানে মোট ২ দশমিক ৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন সক্ষমতার হিমাগার আছে। কিন্তু দেশের বর্তমান কোল্ড চেইন শিল্প চাহিদা মেটাতে সক্ষম নয়, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়। এর ফলে প্রাণিজ প্রোটিন এবং শাকসবজি সাধারণত কাঁচাবাজারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যেখানে প্রায় কোনো যান্ত্রিক রেফ্রিজারেশন ব্যবস্থা নেই, যা খাদ্য নষ্ট এবং ক্ষতির কারণ হতে পারে। ইউএসটিডিএ-এর অর্থায়নে পরিচালিত এ সমীক্ষা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে তৃতীয় পক্ষের সরবরাহ ব্যবস্থায় হিমাগার সুবিধা সমন্বিত নেটওয়ার্ক নির্মাণের মাধ্যমে এ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করবে।
বন্টন ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহমেদ বলেন, ‘দেশের বিশাল জনসংখ্যা—শুধু বৃহত্তর ঢাকাতেই দুই কোটি মানুষ—বাড়তে থাকা উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি এবং ভোক্তাদের বদলে যাওয়া ধরন কোল্ড চেইন শিল্পের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয়। আমরা ছোট ও মাঝারি কৃষি ব্যবসা, সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক খাদ্য আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের জন্য তৃতীয়পক্ষের লজিস্টিক সেবা সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাজারে আমাদের অবস্থানকে কাজে লাগাতে আগ্রহী।’
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (সিডি'এ) হেলেন লাফেভ বলেন, ‘বাংলাদেশে যথাযথ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত সরবরাহ ব্যবস্থার অভাবে ফসল কাটার পর ক্ষতি হয়, যা খাদ্য নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলে এবং কৃষি ও ভোক্তা পণ্যের বাণিজ্যকে সীমিত করে। কোল্ড চেইন অবকাঠামো বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদনকারীদের তাদের কৃষি পণ্যের নিরাপত্তা ও মান নিশ্চিত করে রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনার সুযোগ দেবে। এ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা কোল্ড চেইনে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ চিহ্নিত করবে, যা বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণির ভোক্তা চাহিদা পূরণে যুক্তরাষ্ট্রের হিমায়িত পণ্যের জন্য একটি স্থিতিশীল সরবরাহ ব্যবস্থার নেটওয়ার্ক তৈরি করবে।’
ইউএসটিডিএ-এর এ সমীক্ষা বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের অগ্রাধিকার যেমন ‘ফিড দ্য ফিউচার’ উদ্যোগের লক্ষ্যগুলোকে এগিয়ে নিতে সহায়ক।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন