নিখোঁজ হওয়া এক ব্রিটিশ পর্বতারোহীর পায়ের অবশিষ্টাংশসহ একটি বুট পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ১০০ বছর আগে এভারেস্টে নিখোঁজ হওয়া অ্যান্ড্রু আরভিন নামের যুবকের বুট এটি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে হিমালয়ে জমে থাকা বরফ পাতলা হয়ে আসছে। এর ফলে তুষারের নিচে চাপা পড়ে থাকা পর্বতারোহীদের মৃতদেহ আবিষ্কারের ঘটনা ঘটছে।
ব্রিটিশ পর্বতারোহীর পরিবারটি আরভিনকে খুঁজে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু গত মাসে, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ডকুমেন্টারির চিত্রগ্রহণকারী পর্বতারোহীদের একটি দল একটি সংরক্ষিত বুটে হোঁচট খায়। হিমবাহের ওপরের বরফ গলে তা বেরিয়ে আসে। বুটটি নিখোঁজ ওই ব্রিটিশ পর্বতারোহী অ্যান্ড্রু কমিন স্যান্ডি আরভিনের বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উদ্ধার হওয়া বুটের মধ্যে আরভিনের একটি পায়ের অবশিষ্টাংশ এখনো রয়ে গেছে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক জানিয়েছে, তথ্যচিত্র নির্মাতা দলটি লাল লেবেলসহ একটি মোজাও খুঁজে পেয়েছে, যেখানে সেলাই করে লেখা আছে এ সি আরভিন। তার পরিবারের সদস্যরা দেহাবশেষের পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের প্রস্তাব দিয়েছে।
বিখ্যাত অভিযাত্রিক জিমি চিন এই টিমের নেতৃত্বে ছিলেন।
এই মুহূর্তকে তিনি স্মরণীয় ও আবেগঘন বলে আখ্যা দিয়েছেন। ১৯২৪ সালে তার সঙ্গী জর্জ ম্যালোরিকে নিয়ে এভারেস্টে ওঠার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি। এর পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন এই যুগল। নিখোঁজের ৭৫ বছর পর ১৯৯৯ সালে প্রেমিকা জর্জ ম্যালোরির দেহাবশেষ পাওয়া গেলেও নিখোঁজ ছিলেন আরভিন। আরভিন যখন এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার মিশনে গিয়েছিলেন, তখন তার বয়স ছিল মাত্র ২২ বছর।
এ ঘটনা পর্বতারোহণের সবচেয়ে বড় রহস্যগুলোর সমাধানে সাহায্য করতে পারে। অনেকেই ধারণা করছেন, এডমন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে সর্বপ্রথম মানব হিসেবে এভারেস্টে পৌঁছানোর ২৯ বছর আগে হয়তো অ্যান্ড্রু কমিন স্যানডে আরভিন প্রথম আরোহী হিসেবে সফল হয়েছিলেন।
এভারেস্টে ওঠার সময় আরভিনের শরীরে একটি ক্যামেরার ভেস্ট লাগানো ছিল। সেই ক্যামেরাটি উদ্ধার করা সম্ভব হলে পর্বতারোহণের অনেক ইতিহাস নতুন করে জানা যাবে বলে অনেকই ধারণা করছেন। এভারেস্টের চূড়ায় যদি তারা পৌঁছেই থাকেন, তবে অবশ্যই সেই মুহূর্তটি ক্যামেরায় ধরা পড়ার কথা। তথ্যচিত্র নির্মাতা দলটি এখন ক্যামেরাটির অনুসন্ধান করছে।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন