ভাসানী-বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালি চেতনার এক অভিন্ন নাম : ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক



মওলানা ভাসানী আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালি চেতনার এক অভিন্ন নাম মন্তব্য করে সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন, আমাদের বাঙ্গালি ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার দুটি স্রোতধারার মিলিত একটি মোহনা।

শুক্রবার (২০ নভেম্বর) নয়াপল্টনে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির জলন্ত প্রতীক। সমগ্র জাতিকে ধমক দিতে পারতেন, শাসন করতে পারতেন একজন মানুষ। তখন জাতির যিনি নেতা যিনি ছিলেন, তাকেও শাসন করতে পারতেন।

তিনি আরো বলেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ। তিনি সত্যি কথা বলা শিখিয়েছেন। সেই সত্যের শক্তির ওপর ভরসা করেই আমাদের দেশকে মুক্ত করার রাজনীতি এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এম এ জলিলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, জয়বাংলা মঞ্চের সভাপতি মুফতী মাসুম বিল্লা নাফিয়ী, গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, বরিশাল বিভাগ সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আ স ম মোস্তফা কামাল, ন্যাপ ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলু, নারী নেত্রী এলিজা রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, জুলুম আর জালেমের বিরুদ্ধে মজলুম গণমানুষের কন্ঠস্বর ছিলেন মুক্তি সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। তিনি আজীবন চিরজীবন মজলুম, শোষিত শ্রেণীর মুক্তির পক্ষে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন।

তিনি বলেন, মওলানা ভাসানীই প্রথম পাকিস্তানকে 'আসসালামু আলাইকুম' বাংলার মানুষের মনে স্বাধীনতা বীজ বপিত করেছিলেন। বাংলাদেশ আজ যখন দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি শিকারে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষেরা যখন আজ শাসকগোষ্টির নির্যাতিত-নিপীড়িত। তখন মুক্তি সংগ্রামে মওলানা ভাসানী আমাদের আলোকবর্তিকা।

সভাপতির বক্তব্যে এম এ জলিল বলেন, মওলানা ভাসানী জনগণের মুক্তি, তাই অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি গড়ে তোলার প্রয়োজনে তিনি “আওয়ামী মুসলিম লীগ” থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেবার পক্ষে ছিলেন। বলা চলে তার উদ্যোগেই শব্দটি পরে বাদ পড়ে। তাঁর রাজনীতির দুটি বড় উপাদান ছিল স্বাধীনতা অর্জন এবং সাম্রাজ্যবাদ বিরোধিতা। তাকে অস্বীকার করার অর্থ বাংলাদেশকে অস্বীকার করা। আগামীতে ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য আমি সরকারের প্রতি আহবান জানাই।

 

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন