প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তুর্কি রাষ্ট্রদূত রামিস সেন। সোমবার (১৪ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁও কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাক্ষাতে তারা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা গভীর করার উপায়, রোহিঙ্গা সংকট এবং দুই দেশের মধ্যে ছাত্র আদান-প্রদান নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সাম্প্রতিক বাংলাদেশের বন্যার ব্যাপারে তুর্কি মানবিক প্রতিক্রিয়া, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অব্যাহত সহায়তা এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও ব্যাবসায়িক সম্পর্ক বাড়ানোর জন্য তুর্কি অফিশিয়াল প্রতিনিধিদলের সফরের প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশে আরো তুর্কি বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, ‘ঢাকা এখন ব্যবসার জন্য প্রস্তুত এবং উভয় দেশেরই তাদের সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনা অন্বেষণ করা উচিত।
আমাদের একটি বড় প্রচেষ্টা করা উচিত।’ তিনি তুর্কি প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডিকে যথাসময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
দূত গত বছর তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ এবং তাদের জন্য ১০ হাজার তাঁবু পাঠানোর জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আসন্ন ওয়ার্ল্ড হালাল সামিট এবং ইস্তানবুলে একটি মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য আঙ্কারায় বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানান।
তিনি বলেন, ‘নতুন ব্যবসা ও বাণিজ্যের সুযোগ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগকে সহায়তা করার প্রচেষ্টায় তুর্কির একটি অফিশিয়াল প্রতিনিধিদল এখন বাংলাদেশ সফরে আসছে। আমরা বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যার সময় আরেকটি তুর্কি দল দেশ ভ্রমণ করেছে। ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লায় বন্যার্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে টিম।
’
তুর্কি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এখন $১.১ বিলিয়ন, কিন্তু উভয় দেশ থেকে রপ্তানি বাড়ানোর বিশাল সুযোগ রয়েছে।’
রাষ্ট্রদূত তুর্কি ব্যবসায়ী এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংযুক্ত হতে একটি উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের তুরস্ক সফরের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘চলতি বছরের ডিসেম্বরে তুর্কির বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করবেন।’
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন