গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলার সর্বশেষ তরঙ্গে কমপক্ষে ২৯ জন নিহত হয়েছে। এদিকে উত্তর গাজায় ইসরায়েলের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে প্রায় ৪ লাখ ফিলিস্তিনি আটকা পড়েছে। আল জাজিরার তথ্য অনুসারে, আজ মঙ্গলবার (১৫অক্টোবর) ভোরে ইসরায়েল গাজাজুড়ে ধারাবাহিক বিমান হামলা চলায়।
এর পরেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৯ জন।
বোমা হামলায় নিহতদের মধ্যে তিনজন গাজা শহরের দক্ষিণে জেইতুন এলাকায় সালাহ আল-দিন মসজিদের কাছে একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলার পর নিহত হন। এ ছাড়া আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খান ইউনিসের পূর্বে আল-ফাখারি শহরে ইসরায়েলি হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছে।
এদিকে আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রবিবার রাতে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরের আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের আঙিনায় হামলা চালায়।
যখন হামলা চালানো হয় তখন বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা ঘুমিয়ে ছিলেন। এ ঘটনায় চারজন নিহত এবং আরো ৪০ জন আহত হন।
হামলায় বাস্তুচ্যুতদের বেশ কয়েকটি তাঁবু পুড়ে যায়। মেডিকেল টিম নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়।
তাদের সবকিছু আগুনে পুড়ে যায়।
ভয়াবহ এই হামলায় হতাহতরা গুরুতরভাবে দগ্ধ হয়। কিছু লাশ পুড়ে বিকৃত হয়ে যায়, ফলে তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাঁবুতে ব্যবহৃত দাহ্য নাইলন ও কাপড়ের সামগ্রীর কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে আনাদোলুকে এজেন্সিকে বলেছেন, ‘হোয়াইট হাউস কিছু ছবি দেখার পর ইসরায়েল সরকারের কাছে আমাদের উদ্বেগ জানানো হয়েছে’।
তিনি আরো বলেন, ‘বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এড়াতে ইসরায়েলকে আরো পদেক্ষেপ নিতে হবে। সেখানে যা হচ্ছে তা ভয়ঙ্কর। হামাসের বেসামরিকদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করলেও এমন আচরণ করা উচিত নয়।’
সূত্র : আল-জাজিরা, আনাদোলু এজেন্সি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন