ইরানের সামরিক প্রধানদের ওপর ব্রিটিশ নিষেধাজ্ঞা

ব্রিটেন সোমবার শীর্ষ ইরানি সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ দিয়েছে। ১ অক্টোবর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এ সিদ্ধান্ত এলো।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেছেন, ইরানকে বারবার সতর্ক করা হয়েছে, তেহরান ও তাদের ‘বিপজ্জনক কর্মকাণ্ড’ মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বাড়িয়ে তুলছে। তবে তারা এ সতর্কতাগুলো উপেক্ষা করেছে।

 

যাদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও সম্পদ ফ্রিজ করার আদেশ রয়েছে তাদের মধ্যে ইরানি সেনাবাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ আবদোলরহিম মুসাভি এবং বিমানবাহিনীর প্রধান হামিদ ভাহেদি রয়েছেন। একই সঙ্গে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের গোয়েন্দাপ্রধান মোহাম্মদ কাজেমিও রয়েছেন। এ ছাড়া ইরানের মহাকাশ সংস্থাসহ দুটি কম্পানিও এ তালিকায় রয়েছে, যাদের প্রযুক্তি ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করা যায়। তাদের সম্পদ ফ্রিজ রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

 

ইরান বলছে, ইসরায়েলের হামলায় হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহর মৃত্যু এবং তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর প্রতিশোধে তারা ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এটি ছিল ইরানের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের উপর দ্বিতীয় সরাসরি হামলা। এর আগে দামেস্কে ইরানি কনসুলেটে হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এপ্রিল মাসে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছিল তেহরান।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে লুক্সেম্বার্গে এক বৈঠকের বিবৃতিতে ল্যামি জানান, এই নিষেধাজ্ঞাগুলো ইরানকে জবাবদিহি করার একটি উপায়।

এর মাধ্যমে হামলার পেছনের ব্যক্তিদের উদঘাটন ঘটবে। তিনি আরো বলেন, ‘মিত্র ও সহযোগীদের সঙ্গে আমরা ইরানের অগ্রহণযোগ্য হুমকিগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এবং পুরো অঞ্চলে উত্তেজনা কমানোর জন্য চাপ অব্যাহত রাখব।’

 

গত সপ্তাহে মার্কিন সরকার ইরানের তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল খাতের বহু কম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তাদের মতে, দেশটির ‘অস্থিতিশীল কার্যকলাপের’ জন্য অর্থায়ন বন্ধ করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন