ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজা উপত্যকা ত্রাণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হচ্ছে বলে মঙ্গলবার জাতিসংঘ জানিয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞাগুলোর ফলে শিশুদের ওপর বিশেষভাবে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এল্ডার বলেন, ‘প্রতিদিনই শিশুদের পরিস্থিতি আগের দিনের চেয়ে আরো খারাপ হয়ে যাচ্ছে।’
গত বছর ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর শুরু হওয়া যুদ্ধে গাজার বিশাল অংশ ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়েছে।
বর্তমানে ইসরায়েল উত্তরে তাদের অভিযান আরো জোরদার করেছে। সেখানে লক্ষাধিক মানুষ আটকা পড়েছে বলে জাতিসংঘ সতর্ক করেছে।
ত্রাণ সহায়তা বাড়ানোর তীব্র প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে বলে এল্ডার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আগস্ট মাসে গাজায় যে পরিমাণ মানবিক সহায়তা পৌঁছেছে, তা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে যেকোনো মাসের তুলনায় সবচেয়ে কম।
গত সপ্তাহে এমন কয়েকটি দিন ছিল, যখন কোনো বাণিজ্যিক ট্রাককে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এখন আমরা সম্ভবত ইতিহাসের সবচেয়ে কঠোর মানবিক সহায়তা নিষেধাজ্ঞা দেখছি।’
এ বছর শুরুর দিকে জাতিসংঘ গাজায় সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষের সতর্কতা দিয়েছিল এবং নতুন রুট ও প্রবেশপথ খোলার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু এল্ডার জানান, ‘এখন আমরা পুরোপুরি বিপরীত চিত্র দেখছি।
মে মাস থেকে নিয়মিত প্রবেশপথগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।’
উত্তর গাজার পরিস্থিতি আরো শোচনীয়। এল্ডার বলেন, ‘অক্টোবর মাসজুড়ে সেখানে কোনো খাদ্য সহায়তা পৌঁছয়নি।’ ত্রাণের ঘাটতি, ক্রমাগত বিমান হামলা এবং গাজার ৮৫ শতাংশ এলাকা থেকে উচ্ছেদের নির্দেশের কারণে অঞ্চলটি এখন কার্যত ‘বাসযোগ্য নেই’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন