প্রথম দক্ষিণ কোরীয় লেখিকা হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতে নিয়েছেন হান কাং। নোবেল পুরস্কার জেতার পর নিজ দেশে সাত দিনে তার ১০ লাখেরও বেশি বই বিক্রি হয়েছে। আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) দেশটির বইয়ের দোকানগুলো এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ছোটগল্প ও উপন্যাস লেখার জন্য আগে থেকেই সুনাম ছিল হানের।
তার লেখা উপন্যাস ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’ ২০১৫ সালে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন ডেবোরাহ স্মিথ। পরের বছরই উপন্যাসটির লেখক হিসেবে ম্যান বুকার পুরস্কার পান হান। এটা তার ইংরেজিতে অনুবাদ করা প্রথম উপন্যাস।
সুইডিশ একাডেমি গত সপ্তাহে বলেছে, ৫৩ বছর বয়সী এই নোবেলজয়ী প্রথম এশীয় নারী লেখিকা।
মানবজীবনের দুঃখ-কষ্ট কাব্যিকভাবে রূপ দেওয়ার স্বীকৃতি হিসেবে হান কাংকে নোবেল পুরস্কারের জন্য বেছে নেওয়া হয়। তিনি নোবেল জেতার পর দক্ষিণ কোরিয়ায় বেশ সাড়া পড়ে গেছে। কোরিয়ার প্রধান প্রধান বইয়ের দোকান এবং প্রকাশনা সংস্থাগুলোর ওয়েবসাইটে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। হাজার হাজার মানুষ তার বইয়ের জন্য ছুটতে থাকে।
গত বৃহস্পতিবারের নোবেল ঘোষণার পর থেকে আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত এই সাত দিনে ই-বুকসহ অন্তত ১০ লাখ ছয় হাজার কপি বিক্রি হয়েছে। তিনটি প্রধান বইয়ের দোকান এবং অনলাইন খুচরা বিক্রেতা - কিয়োবো, আলাদিন এবং ইয়েস২৪ এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছে।
কিয়োবোর মুখপাত্র কিম হিউন-জুং এএফপিকে বলেন, ‘হান কাং-এর বইগুলোর শত শত কপি বিক্রি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি এর আগে আমরা কখনো দেখিনি।’
অনলাইন বইয়ের দোকান আলাদিন বলেছে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় হানের বইয়ের বিক্রির সংখ্যা এক হাজার ২০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
নাটকীয়ভাবে সমগ্র দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে বিক্রি বেড়েছে। এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ‘হান হাং নোবেল জেতার পর গত বছরের এই সময়ের তুলনায় কোরীয় সাহিত্যের বইগুলোর বিক্রি ১২ গুণ বেড়েছে।’
জুডিথ শ্যালানস্কির ‘ইনভেন্টরি অব লসেস’ এবং জিন-জ্যাক রুসোর ‘অ্যাটলাস ডি বোটানিক এলিমেন্টার’ নামে দুটি বই পড়ছেন বলে হান সম্প্রতি উল্লেখ করেছিলেন। আলাদিন বলছে, এর পর থেকে সেই দুটি বইয়ের বিক্রিও বেড়েছে।
কিয়োবো বুক সেন্টার বলেছে, তাদের কাছে সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও হানের বই অন্যান্য নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের তুলনায় নাটকীয়ভাবে বেশি বিক্রি হয়েছে। কিয়োবোর একজন কর্মচারী এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা অল্প সময় ধরে এই প্রকাশনাশিল্পে এসেছি, তবে বর্তমান পরিস্থিতিটি আমাদের কারো কারো কাছে অবাস্তব মনে হচ্ছে।’
স্থানীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হানের বইয়ের চাহিদা মেটাতে কিছু প্রিন্টিং হাউস পুরোদমে কাজ করে যাচ্ছে। আলাদিনের একজন কর্মচারী এএফপিকে বলেন, ‘২০০৬ সালে কম্পানিতে যোগদানের পর থেকে আমি এতটা ব্যস্ত ছিলাম না।’
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন