অতীত দিনের কিছু হালচাল

মিজানুর রহমান মিজান   ||

পৃথিবী প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে।তাহোক প্রকৃতি,পরিবেশ,সমাজ-সামাজিকতা,আচার-আচরণ,পোষাক,চালচলন ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে।আমরা হচ্ছি উন্নত থেকে উন্নততর।আধুনিক থেকে আধুনিকতর।বেশিদিন আগের কথা নয়।মনে হয় এইতো সেদিনের কথা।উনিশ শতকের ষাট থেকে আশির দশকের কথা।স্মৃতির পশরা সাজালে মনের অলিন্দে জাগে সে সকল দৃশ্য জাগায় স্মৃতি জাগানিয়া।সেদিন ছিলো না এসি,ফ্রিজ আধুনিক স্পর্শ ছোঁয়া জিনিষপত্র, আসবাব পত্র।ছিলো মানুষের হাতের তৈরী বিভিন্ন উপকরণের মাধ্যমে আবিষ্কৃত জিনিষ পত্র। কিন্তু সবই হয়ে গেছে যান্ত্রিকতা নির্ভরশীল।

উপরের দুইটি ছবির দিকে তাকালে দেখা যায় অতীত দিনের কিছু চালচিত্র।প্রথম ছবির দিকে তাকালে দেখা যায় আমাদের মা,চাচীরা খাদ্য সামগ্রী কি সুন্দর ভাবে সযত্নে সাজিয়ে রাখতেন।বাঁশের তৈরী তাকিয়া (আঞ্চলিক ভাষায় সিলেটের)সাধারণত মেয়েদের হাতে তৈরী।উপর-নীচ একেকটি বাসন খাদ্য সামগ্রী সমেত রক্ষিতের কৌশল।যেখানে ছিল না ফ্রিজের ছোঁয়া।তারপর ও মেয়েরা উম্মুক্ত ভাবে প্রকৃতির সান্নিধ্যে ভাল রাখার বা ভাল থাকার ছিল কৌশল।নষ্ট একবারে হত না তা নয়।তবে মাঝে মাঝে নষ্ট ও হতো।যার পরিমাণ ছিলো অপেক্ষাকৃত কম।কিন্তু আমাদের মা,চাচীরা ছিলেন একেকজন বড় বিজ্ঞানী।নষ্ট না হবার অনেক ধরণের থিওরী ছিলো তাঁদের নখ দর্পণে।উদাহরণ স্বরুপ বলা যায়, আজকের সম্মানিত ডাক্তার সাহেবরা যেমন রোগি গেলেই বিভিন্ন পরিক্ষা-নিরিক্ষা ব্যতীত চিকিৎসা কল্পনা করা যায় না।রোগ নির্ণয় সম্ভব নয়।পূর্বে দেখেছি সম্মানিত ডাক্তার সাহেবরা রোগির আদ্যপান্ত জিজ্ঞাসায় রোগ নির্ণয় করতেন,করেছেন।আমাদের সম্মানিত মা,চাচীরা খাদ্য সামগ্রী ভাল রাখার বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করতেন।সে বিষয়ে বলবো অন্যদিন,অন্য কোথাও।পাশের ছবিতে দেখা মিলে পাটৈর তৈরী বা বেতের তৈরী চিকায়(সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় চিকা) রক্ষিত খাদ্য সামগ্রী।অতীত অতীতই হয়ে গেছে।শুধু মাত্র দেখি ভাবনা ও স্মৃতির পশরায়।হারানোর বেদনায় মনে হয় অনেক সময় কি দেখলাম আর কি দেখছি,ভবিষ্যতে আর কি দেখার রয়েছে বাকী।তারপরও বলি সামনের দিকে এগিয়ে যাক পৃথিবী,পরিবেশ,পরিস্থিতি।নৈতিকতা সম্পন্ন আচার আচরণ হোক আমাদের দৈনন্দিন জীবন যাপনের তালিকায় সমৃদ্ধ।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন