রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে উপদেষ্টা পরিষদের সভায়। তার থাকা না থাকার বিষয়টি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।
সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের প্রশ্নে আলোচনা শুরু করেছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা। তিনি বলেন, দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতার ভিত্তিতেই বিষয়টাতে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সভার শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের থাকা না-থাকা নিয়ে আলোচনা হয়। সম্প্রতি দৈনিক মানবজমিনে দেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র ইস্যুতে বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতি।
এরপর বিভিন্ন মহল থেকে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের দাবি ওঠে। বঙ্গভবনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এই দাবিতে আন্দোলন করেছেন ছাত্র-জনতা।
এদিকে সভায় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভার সিদ্ধান্তের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সব ক্যাডারের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বৎসর নির্ধারিত হবে।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের আওতাবহির্ভূত সব সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বৎসর নির্ধারিত হবে। স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার ক্ষেত্রে স্ব-স্ব নিয়োগবিধিমালা প্রয়োজনীয় অভিযোজন সাপেক্ষে প্রযোজ্য হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ অধ্যাদেশের আলোকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’-এর ধারা ৫৯-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ‘বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪’ পুনর্গঠনপূর্বক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ তিনবার অবতীর্ণ হতে পারবে বিধি সংযোজন করবে।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন