দুইটি বিষয়ের ওপর ট্রাম্প গোড়া থেকেই গুরুত্ব দিয়েছেন, অনুপ্রবেশ এবং অর্থনীতি। নিউ ইয়র্কের নির্বাচনী প্রচারে ১৫ মিনিটের বক্তৃতাতেও ট্রাম্প সেই কথাগুলোই বলেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, ক্ষমতায় এলে গ্যাংওয়ার বন্ধ করবেন তিনি। অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করবেন।
তার দাবি, বাইরের দেশ থেকে অপরাধীরা আমেরিকায় প্রবেশ করছে। তারা আমেরিকার শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট করছে। কোনো অভিবাসনপ্রত্যাশী যদি আমেরিকার কোনো নাগরিককে হত্যা করে থাকেন, তাহলে তাকে ফাঁসি দিতে হবে বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, যদি কোনো অনুপ্রবেশকারী আমেরিকায় এসে কোনো মার্কিন নাগরিককে হত্যার ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন, তাহলে তাকে ফাঁসি দেওয়া হবে।
পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, সকলকে দেশের পতাকাকে শ্রদ্ধা করতে হবে। কেউ পতাকা জ্বালিয়ে দিলে তার এক বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
ট্রাম্পের সমর্থকেরা এদিন ভরিয়ে দিয়েছিলেন ম্যাডিন স্কোয়্যার গার্ডেন। ট্রাম্প আসার আগে তারাও কমলা হ্যারিসকে কার্যত ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন।
হ্যারিস তুলনা করা হয় শয়তানের সঙ্গে।
ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি বলেছেন, ‘কমলা, আপনি এই দেশ ধ্বংস করে দিয়েছেন। আপনাকে আমরা আর কোনোভাবেই ফেরাবো না। আপনার চাকরি চলে গেছে।
আপনি এবার বেরিয়ে যান।’ ট্রাম্পের অভিযোগ, কমলা হ্যারিসের আইকিউ কম। প্রকাশ্যে এভাবেই হ্যারিসকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন ট্রাম্প।
রবিবার রাতে নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ারে বক্তৃতা দেন ট্রাম্প। ট্রাম্প সেখানে বলেছেন, আগামী চার বছর কেমন কাটবে তা স্থির হবে এই নির্বাচনে। আরো চার বছর মানুষ কিছু অযোগ্য মানুষের হাতে দেশ ছাড়তে চান নাকি এক ঐতিহাসিক সময়ের শুরু দেখতে চান, তা তাদের স্থির করতে হবে। বস্তুত এদিনের প্রচারে ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় চমক ছিল তার স্ত্রী। এই প্রথম ট্রাম্পের প্রচারে স্ত্রী মেলানিয়াকে দেখা গেছে।
নভেম্বরের গোড়াতেই আমেরিকার নির্বাচন। হ্যারিস জিতলে তিনি গড়বেন। আমেরিকার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হবেন তিনি। তবে এখনো পর্যন্ত ভোটের আগের সমীক্ষা বলছে, ট্রাম্প এবং হ্যারিসের লড়াই হচ্ছে হাড্ডাহাড্ডি। শেষ এক সপ্তাহে জনমতের ভিত্তি বলছে, হ্যারিস সামান্য এগিয়ে আছেন।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন