বুলবুল আহমেদ:- রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জনেভো ক্যাম্পের মাদক কারবারি সোহেল ওরপে বুনিয়া সোহেল গ্রেফতার। সে র্দীঘদিন ধরে ক্যাম্পটিতে গ্যাং কালচার চালু করেছে। এতে বেশ কিছুদিন যাবৎ ‘চুয়া সেলমি’ ও ‘বুনিয়া সোহেল’ এই দুই গ্রুপের মধ্যে মাদক ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষ চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানা থেকে প্রচুর পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে নেয় তারা দুই পক্ষ নিয়ে যায় ক্যাম্পে।
সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি সংঘাতের সময় অস্ত্র হাতে নিয়ে মহড়া দিতে ও গুলি ছুঁড়তে দেখা গেছে দুই পক্ষকের লোকজনের হাতে। গোলাগুলিতে দুই মাসে নিহত হয়ছেনে পাঁচ জন। এতে, আহত হয়ছেনে এক’শরও বেশী মানুষ। মাদক আন্ত:জেলার কারবারি সোহেল ওরপে বুনিয়া সোহেলের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় হত্যা, খুন, র্ধষণসহ অন্যান্য অপরাধরে দায়ে ১৮টি মামলা রয়েছে।
এরই ধারাবাহকিতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিলেট ও র্যাব-২, মোহাম্মদপুর, ঢাকা এর যৌথ অভযিানে গত (৩১ অক্টোবর) বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটের সময় সিলেট কোতয়ালী থানার দাড়িয়াপাড়াসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযিন পরচিালনা করে সিলেট আত্মগোপনে থাকা মাদক কারবারি সোহলো ওরপে বুনয়িা সোহলেসহ আরো আরো ৫ জন আসামীকে গ্রফেতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রফেতারকৃত আসামীরা হলো৷ আব্দুস সালামের পুত্র সোহলে ওরপে বুনয়িা সোহলে (৩০), সাব্বির হোসের পুত্র আমরি হাসান হরিা (৩৬), সিলিম হোসেনের পুত্র আনোয়ার হোসনে (২৭), মৃত মুসলিমের পুত্র জামাল হোসনে (২৯), সোহেল রানার স্ত্রী মোছাঃ শাহনিুর (৩২)। সর্ব ঠিকানা ঢাকা ডিএমপি'র মোহাম্মদপুর থানার জনেভো ক্যাম্প এলাকার।
এছাড়াও র্যাব-৯, সিপিসি-৩, শায়স্তোগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভযিানকি গত (৩১ অক্টোবর) দুপুর ২টার সময় হবগিঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার সাইহাম ফিউচার কমপ্লক্সে এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপর অভিযিন পরিচালনা করে ৭ জন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো, ঢাকা ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানার ক্যাম্পের জনোভো গ্রামের বাসিন্দা।
উপরউিক্ত ঘটনার সূত্র ধরে পরর্বতীতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আভিযানিক দল শুক্রবার (১ নভম্বের) সন্ধা সাড়ে ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো, ঢাকা ডিএমপি জেলার মোহাম্মদপুর থানার ক্যাম্প জনেভো গ্রামের নাসিমের পুত্র আমিন (২৮), মৃত ইদ্রিসের পুত্র ইকবাল (২৮), মো: পলু কসাইয়ের পুত্র আসিফ মিয়া (৩৭)
পরর্বতী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের লক্ষ্যে র্যাব-২, মোহাম্মদ, ঢাকা এর নকিট হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও উক্ত মামলার অন্যান্য অপরাধীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবের গোয়ন্দো তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন, সিলেট র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন