ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন নিয়ে ইউরোপকে নতুন করে ভাবতে হবে, যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন—রবিবার এমন মন্তব্য করেছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। তার মতে, ইউরোপ এই যুদ্ধের পুরো বোঝা একা বহন করতে পারবে না।
অরবান ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিতে বিরোধিতা করেন এবং পরিষ্কারভাবে মনে করেন, ট্রাম্পও তার মতোই শান্তি আলোচনা করতে চান। তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন, যিনি মঙ্গলবারের মার্কিন নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
অরবান বলেন, ‘আমাদের (ইউরোপে) উপলব্ধি করতে হবে, যদি আমেরিকায় এমন একজন শান্তিপন্থী প্রেসিডেন্ট আসেন, যা আমার বিশ্বাসের পাশাপাশি পরিসংখ্যানও ইঙ্গিত দিচ্ছে...যদি আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হয় এবং আমেরিকা শান্তির দিকে ঝুঁকে, তাহলে ইউরোপ যুদ্ধের পক্ষে থাকতে পারবে না।’
অরবান জানান, আগামী সপ্তাহে ইউরোপীয় নেতাদের বুদাপেস্টে যে বৈঠক হবে, সেখানে ইউক্রেনের বিষয়টি আলোচনার শীর্ষে থাকবে। এই বৈঠকে ইউরোপীয় রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের আলোচনার পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতাদের একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠকও হবে।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপ একা এই যুদ্ধের বোঝা বহন করতে পারবে না, আর যদি আমেরিকা শান্তির দিকে অগ্রসর হয়, তবে আমাদেরও সেই পথ অনুসরণ করতে হবে।
এটাই আমরা বুদাপেস্টে আলোচনা করব।’
এদিকে মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল ইউক্রেনের যুদ্ধ ও ইউরোপের নিরাপত্তার ওপর কী প্রভাব ফেলতে পারে, তা নিয়ে ইউরোপ উদ্বিগ্ন। রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং ইউক্রেনের জন্য সহায়তা দেওয়ার বিরোধিতার জন্য অরবান ব্রাসেলসকে ক্ষুব্ধ করেছেন।
হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজিয়ার্তো জুলাই মাসে বলেছিলেন, হাঙ্গেরি সরকার ট্রাম্পকে ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার ‘একটি সুযোগ’ হিসেবে দেখছে।
একই মাসে অরবান বলেছিলেন, তার দল ট্রাম্পের সহকারীদের পরিবার ও অভিবাসন নীতি নিয়ে সহায়তা করছে। গত বৃহস্পতিবার তিনি ট্রাম্পকে ফোন করে মঙ্গলবারের নির্বাচনের আগে শুভকামনা জানান।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন