সিলেটের বিশ্বনাথে পৌর এলাকায় থাকা অবৈধ স্থাপনাগুলো স্ব-ইচ্ছায় সরিয়ে নেওয়ার জন্য একাধিক বার করা হয় মাইকিং, আর উচ্ছেদে নেমে রশি ও তেলপালের চাউনী কেটেই সম্পন্ন হয় পৌরসভা ও প্রশাসনের সেই উচ্ছেদ অভিযান। যদিও ওই কাজটি দায়িত্বে থাকাবস্থায় প্রায় দেড় বছরেও করতে পারেননি পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত মেয়র মুহিবুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত পৌর শহরের নতুন বাজার ও পুরাণ বাজার এলাকায় দুই বাজারের ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানটি পরিচালনা করেন বিশ্বনাথ পৌরসভার প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলা উদ্দিন কাদের।
উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে দেখা যায়, পৌর শহরের নতুন বাজারে ধানহাটা থেকে মাছ বাজার পর্যন্ত অবৈধভাবে বসা কয়েকটি ভাসমান দোকানের তেরপাল দেয়া চাউনী ভেঙ্গে ফেলা হয় ও কিছু রশি কাটা হয় এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এসব তেরপাল ও কিছু সবজির কেরেট জব্দ করা হয়। পাশাপাশি পুরান বাজারে রাস্তায় বসা কিছু দোকানকে সরিয়ে দেয়া হয়। শত বছরের পুরোনো ধানহাটা থেকে দ্রুত সকল স্থাপনা সরিয়ে দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু অবৈধভাবে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠা স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে কোন অ্যাকশন নেয়া হয়নি অভিযানে।
তবে এ অভিযানের মাধ্যমে অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের একটি সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়ে পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলা উদ্দিন কাদের স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে বলেন, পৌরসভায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালিত হবে এবং তা কঠোরভাবে হবে। পৌরসভায় কোন অবস্থায়ই কোন অবৈধ স্থাপনা থাকবে না বলেও জানান তিনি।
বাসিয়া নদীর দুই তীরে থাকা প্রায় ২ শতাধিক অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে পৌর প্রশাসক সাংবাদিকদের বলেন, বাসিয়া নদীর দুই তীরের স্থাপনা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা রয়েছে। নির্দেশনা আসলেই নদীর দুই তীর উদ্ধার করা হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন